কুড়িগ্রামে চন্ডিপাঠ ও ঢাকের বাদ্যে চলছে দেবী বন্দনা

সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামেও চন্ডিপাঠ আর ঢাকের বাদ্যে চলছে দেবী বন্দনা। শনিবার(২৩ অক্টোবর) দূর্গোৎসবের ৩য় দিনে মহাষ্টমীর তিথিতে সকাল ৯টা ৫৭ মি.মধ্যে সমপন্ন হয়েছে মহাষ্টমীর কল্পাতরম্ভ বিহিত পুজা।

ষোড়স উপাচারে দেবীর পুজো হয় এই তিথিতে। এরপর মহাষ্টমী ও মহানবমী তিথির মধ্যবর্তী সময় সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয় সন্ধি পূজা। ১০৮ টি পদ্মফুল, প্রদীপ, নৈবিদ্য,দূর্বা,আতপচাল ইত্যাদি নানা উপকরণে অনুষ্ঠিত হয় পুজো।

পুজো চলাকালীন সময়ে অঞ্জলি দেয়া ও প্রসাদ গ্রহনের সময় কুড়িগ্রামের মন্দিরগুলোতে দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পুজোর রীতিনীতি গুলো সমপন্ন হচ্ছে। অষ্টমী তিথিতে দেবী দূর্গা নারী শক্তির আরেক রুপ কুমারী দেবী রুপে পূজিত হন।

তবে এবার মহামারী করোনার কারণে কুমারী দেবীর পুজো সাড়ম্বর ভাবে না হলেও,ঘটে পুজোর মাধ্যমে আচার ব্যবস্থায় ছিলো সীমাবদ্ধ। কুড়িগ্রাম জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবি বোস জানান,” আমাদের জেলায় ৫০৮ টি মন্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো সমপন্ন হচ্ছে।

আশাকরি বাকি ২ দিন এভাবেই কাটবে।” মহামারী করোনার কারণে এবার পুজো মন্ডপগুলোতে বিভিন্ন নির্দেশনা থাকার কারণে পুজোর উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়েছে,তাতে যোগ হয়েছে বৈরী আবহাওয়া। কুড়িগ্রাম জেলায় এখন অব্দি শান্তিপূর্ন ভাবেই পুজো চলছে।

তবে মন্ডপগুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ ও আনসার সদস্য না থাকার ফলে কিছুটা চিন্তায় পড়েছে মন্ডপ কমিটির কর্তারা। জেলা সদরের মোল্লাপাড়া সেবক সংঘের পুজো কমিটির সদস্য প্রীতম সাহা বলেন,” মহামারীর কারণে সন্ধার পর কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা আরতী না হলেও, অনেক সময় প্রতিমা দর্শনে ভীড় হয়। আমরা আশংকা করছি আমাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা এই ভীড় সামলাতে পারবে কি না। ”

কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান,” আমাদের নিরাপত্তা সার্বক্ষনিক রয়েছে,মাঠে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যরা টহলরত রয়েছেন। আশাকরি পুজো সুষ্ঠভাবে সমপন্ন হবে।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর