প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারে ‘ওসি প্রদীপের নামে করিডোরে চাঁদা আদায় ও ২৩ অক্টোবর সমুদ্র কন্ঠে ওসি প্রদীপের শত কোটি টাকা পাচার’ শীর্ষক সংবাদটি আমি নিম্ম স্বাক্ষরকারীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটিতে এলাকার একশ্রেনীর স্বার্থান্বেষী মহলের ব্যবসায়িক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ও প্রতিবেদককে ভুল তথ্য সর্বরাহ করেছে।

আমি বর্তমানে টেকনাফ উপজেলা সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের একজন নির্বাচিত ইউপি সদস্য। দীর্ঘ দিন ধরে টেকনাফ করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আমদানীকারক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। মূলত বিগত সময়ে সাবেক ওসি প্রদীপ টেকনাফ থানায় দায়িত্বকালীন সময়ে প্রত্যেক মানুষের মতো আমরা ব্যবসায়ীরাও তার অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলাম। অনেকটা জোরপূর্বক করিডোরে গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের ডেকে বৈঠকে করে বিভিন্ন দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বিশেষ করে আমিসহ কয়েকজনকে করিডোর থেকে তার নামে চাদা আদায়ের দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে আমি কৌশলে তা এড়িয়ে যাই। যার ফল শ্রুতিতে ব্যবসায়িকভাবে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যা করিডোরের ব্যবসায়ী নেতাসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা অবগত আছেন।

এদিকে প্রদীপের শত কোটি টাকা পাচার করতে মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে। বিনিময়ে তারাও কোটি কোটি টাকা পেয়েছি, যার সূত্র ধরে ২০কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছি। এসব টাকা উদ্ধার করতে মাঠে নেমেছে প্রদীপ বা চুমকি বাহিনী। প্রদীপের নির্দেশ মতে এসব টাকা পাচারের সুবিধার্থে আমি প্রতি সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে বাচাই করা বড় সাইজের শত শত গরু আমদানি করেছি। পরে গরু গুলো ট্রাকে করে চট্রগ্রামের বিভিন্ন হাটে নিয়ে গিয়ে পাইকারী দরে বিক্রি করেছি। এর পর গরু বিক্রির সম্পূর্ণ টাকায় প্রদীপের প্রতিনিধির হাতে হস্তান্তরের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কথা গুলো ভিত্তিহীন।

মূলত, আমি আমদানিকারক হিসেবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পশু সরবরাহ করি। ব্যবসায়ীরা যদি পশু কিনে আমি বিক্রি করি। এখানে কোন ব্যবসায়ী কার টাকায় পশু কিনে সেটা দেখার বিষয় আমার না। কেউ যদি প্রদীপের টাকালগ্নি করে পিশু কিনে চট্টগ্রাম নিয়ে গেলে সেটা একান্ত তাদের ব্যাপার। এসবের সাথে আমার যোগসুত্র থাকার প্রশ্নই আসেনা। এসব বিষয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দাদের সরেজমিনে তদন্ত করার আহবান জানাচ্ছি।

হয়তো স্থানীয়ভাবে ব্যবসা করতে গেলে ব্যবসায়ীদের মাঝে বিভিন্ন মৌনদন্ড থাকে। আমার প্রতিপক্ষ কোন ব্যবসায়ী স্বার্থ হাসিলের জন্য তিলকে তাল বানাতে হয়তো প্রতিবেদককে ভুল তথ্য সরবরাহ করতে পারে, যা অসম্ভব কিছুই না। সুতরাং এসব বিষয়ে পাঠক ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ব্যক্তিদের বিচলিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিবেদক:
মোহাম্মদ শরিফ
সদস্য, ৪ নং সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ।
টেকনাফ কক্সবাজার।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর