টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত বরগুনাসহ উপকূলীয় এলাকার জনজীবন

দু’দিনের ভারি বর্ষণে বরগুনাসহ গোটা উপকূলীয় এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় নদী তীরবর্তী এলাকাসমুহে বর্ষণের বানে বাড়ি-ঘর ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বরগুনা জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকা। বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি জমেছে। জলমগ্ন জেলার বহু অংশ। টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে বরগুনার পায়রা বলেশ্বর ও বিষখালী নদী। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য দুর্যোগ রয়েছে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।

গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে বর্ষণ শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত ভারিবর্ষণ অব্যহত রয়েছে। কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে মাঠে-ঘাটে থইথই জল। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। বৃষ্টিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত শ্রমজীবি মানুষদের। বিশেষ করে বরগুনার আবাসনের কয়েক হাজার বাসিন্দা চরম দূর্ভোগে পড়েছে।

এছাড়াও পায়রা-বলেশ্বর ও বিষখালি বরগুনার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিনটি নদীরই পানি ফুঁসেছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিম্নচাপ ও ভারি বর্ষণের ফলে নদীর পানি তিনফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে উপকূলের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বরগুনা পাউবো’র পানি পরিমাপক মাহতাব হোসেন জানান, সবশেষ জোয়ারের বরগুনার তিনটি নদীর পানিই স্বাভাবিকের চেয়ে তিনফুট বেড়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, আমনের মৌসুমে ধানে শীষ ধরেছে। এমন ভারি বর্ষণে জেলার কয়েক লাখ হেক্টর আবাদি আমনের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শীতের আগাম সব্জি চাষও চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।

দক্ষিণবঙ্গ হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে অবস্থান করছে নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এর জেরে আরো দু’তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। ফলে এখনই দুর্যোগ থেকে মুক্তির সম্ভাবনা নেই। পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় ১৫ মিলি লিটার বৃষ্টিপাত পরিমাপ করা হয়েছে।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর