নিরাপদ সড়কসহ সকল যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে আছি: সাদ্দাম

নিরাপদ সড়ক আন্দোলন সহ সকল যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে আছি বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসু নির্বাচনের নবনির্বাচিত এজিএস সাদ্দাম হোসেন। বুধবার দুপুরে শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্বতা পোষন করে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সু-প্রভাত বাসের চাপায় বিইউপির ছাত্র আবরার আহম্মেদ চৌধুরীর নিহতের ঘটনাটি আমরা মনে করি এটা একটা হত্যাকাণ্ড।এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের বিচারের দাবী জানাচ্ছি। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসুর পক্ষ থেকে বলতে চাই যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবী মেনে না নিবে ততদিন পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলনের সাথে আছি।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সু-প্রভাত বাসের চাপায় বিইউপির ছাত্র আবরার আহম্মেদ চৌধুরীর নিহতের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে একাত্বতা পোষন করে সকাল থেকে শাহবাগ অবরোধ করে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ এর শিক্ষার্থীরা।

এসময়, শিক্ষার্থীরা ‘বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’ নানা স্লোগান দিচ্ছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পাশেই অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

এর আগে সহপাঠীর নিহতের ঘটনায় আট দফা দাবিতে বুধবার সারাদেশে ক্লাস বর্জন ও সড়ক অবরোধের আহ্বান জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় সাংবাদিকদের সামনে শিক্ষার্থী মায়েশা নূর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে মায়েশা নূর বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আটদফা দাবি দিয়েছি। এটা গণমাধ্যমে চলে এসেছে। আমাদের এই আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন না। আমাদের এই আন্দোলনে রাজনৈতিক কোনও দল বা ব্যক্তিকে গ্রহণ করবো না। সবাই নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র নিয়ে আন্দোলনে যোগ দেবেন। আমরা আমাদের অভিভাবকদের এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করছি।

শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি হলো-

১. পরিবহন সেক্টরকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে এবং প্রতি মাসে বাসচালকের লাইসেন্সসহ সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করতে হবে।

২. আটক চালক ও সম্পৃক্ত সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৩. আজ থেকে ফিটনেসবিহীন বাস ও লাইসেন্সবিহীন চালককে দ্রুত সময়ে অপসারণ করতে হবে।

৪. ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সব স্থানে আন্ডারপাস, স্পিড ব্রেকার এবং ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।

৫. চলমান আইনের পরিবর্তন করে সড়ক হত্যার সাথে জড়িত সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৬. দায়িত্ব অবহেলাকারী প্রশাসন ও ট্রাফিক পুলিশকে স্থায়ী অপসারণ করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭. প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চলাচল বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে বাসস্টপ এবং যাত্রী ছাউনি করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং

৮. ছাত্রদের হাফ পাস (অর্ধেক ভাড়া) অথবা আলাদা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর