তামিমদের হারে ফাইনালে মাহমুদউল্লাহ একাদশ

প্রেসিডেন্টস কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রোমাঞ্চ জাগিয়েও নাজমুল একাদশের বিপক্ষে ৭ রানে হেরেছে তামিম একাদশ। এর ফলে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেছেন তামিমরা। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থেকে ফাইনালে গেছে নাজমুল একাদশ।

আর পয়েন্ট টেবিলে তামিমদের থেকে এগিয়ে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। নাজমুল একাদশের বিপক্ষে জিতেতে হলে শেষ ওভারে তামিম একাদশের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। বোলার ছিলে সৌম্য সরকার। স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

প্রথম বলটির লাইন মিস করেন এই অলরাউন্ডার। এরপর দ্বিতীয় বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন শরিফুল। পরের বলে সৌম্যকে ছক্কা মেরে জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। তবে চতুর্থ বলে তিনি রিশাদ হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে তামিম একাদশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৫৬ রানে।

নাজমুল একাদশ ১৬৫ রান করলেও বৃষ্টি আইনে তামিমদের লক্ষ্যে নেমে এসেছিল ১৬৪ রানে। লো স্কোরিং এই ম্যাচে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তামিম একাদশের। তারা ১০ রানেই হারায় ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের উইকেট।

২২ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৮৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। এরপর মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ মিঠুনের ২৯ রান ছাড়া আর কেউই বড় স্কোর গড়তে পারেননি।

এর ফলে জয়ের পথ থেকে ছিটকে যায় তামিম একাদশ। নাজমুল একাদশের হয়ে তাসকিন আহমেদ একাই নিয়েছেন ৪টি উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আল আমিন, আবু জায়েদ, নাসুম আহমেদ এবং সৌম্য সরকার।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই বিপদে পড়েছিল নাজমুল একাদশ। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাজমুল একাদশের ৩ ব্যাটসম্যান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাইফউদ্দিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সৌম্য সরকার।

৮ বলে ৭ রান করা এই ওপেনার আকবর আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার দুই ওভার পরই মেহেদি হাসানকে ডিপ স্কোয়ার লেগে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১০ রানে ফিরেছেন পারভেজ হোসেনও। ১৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি অধিনায়ক শান্তও।

মুস্তাফিজের প্রথম ওভারেই মিড অন অঞ্চলে ক্যাচ এনামুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন তিনি। শুরুতেই ৩ উইকেট হারানো নাজমুল একাদশকে এরপর টেনে তোলেন মুশফিক এবং আফিফ। এর আগের ম্যাচেও এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই বিপদ এড়িয়েছিলেন তারা।

চতুর্থ উইকেটে এই জুটি যো জগ করে ৯০ রান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিল তবে ৫১ রানে সাইফউদ্দনের বলে ফিরে যান তিনি। খানিক পর ৪০ রানে আফিফকে বিদায় করেন মেহেদি। এরপর ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মাঝেই ছিলেন।

শেষের দিকে মুস্তাফিজ এবং সাইফউদ্দনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পরেন নাজমুল একাদশের ব্যাটসম্যানরা। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নাঈমকে বোল্ড করে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন সাইফ। ১১৫ থেকে ১৬৫ রানের মাথায় ৭ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে বসে নাজমুল একাদশ।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর