সাতক্ষীরায় ৪ খুনের স্বীকারোক্তি: ভাই-ভাবির গালমন্দের কারণেই খুন

সাতক্ষীরায় একই পরিবারের ৪ জনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন নিহতের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম। খাওয়া নিয়ে ভাবি সাবিনার খোটা দেওয়া ও টিভি দেখায় বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে বলে গালমন্দ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।

আদালতে সাতক্ষীরার কলরোয়ায় একই পরিবারের চার জনকে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামি রায়হানুল ইসলাম। আজ (বুধবার) বিকালে সাতক্ষীরা সিআইডি অফিসে সংবাদ সন্মেলন করে এসব তথ্য জানান সিআইডির ঢাকা অফিসের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

তিনি জানান, রায়হানুল বেকার ছিলেন। ঘটনার দিন ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় খাওয়ার খোঁটা দিয়ে তাকে ব্যাপক গালমন্দ করেন ভাবি সাবিনা খাতুন। তখনই তিনি ভাবিকে হত্যার পরিকল্পনা আঁটেন। রাতে টিভি দেখার সময় বিদ্যুৎ বিল বেশি হবে বলে তাকে বকা দেন বড় ভাই শাহিনুর। এসময় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাকেও হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে রায়হানুল কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ভাই, ভাবি এবং ভাতিজা-ভাতিজিকে খাওয়ান।

রাতে যথারীতি দরজা না লাগিয়ে বাইরের কলাপসিবল গেট লাগিয়ে শাহিনুরসহ পরিবারের সবাই ঘুমাতে যান। ১৫ অক্টোবর ভোর চারটার দিকে রায়হানুল গাছ বেয়ে চিলেকোটা দিয়ে ঘরে ঢুকে প্রথমে ঘুমন্ত ভাই শাহিনুরকে এবং পরে ভাবিকে চাপাতি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেন। ছেলে সিয়াম ও মেয়ে তাসনিম জেগে গেলে তাদেরও হত্যা করেন রায়হানুল। পরে তিনি চাপাতি পুকুরে ফেলে গোসল করে ঘুমাতে যান।

তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে বুধবার দুপুরে হেলাতলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছ থেকে লিজ নেয়া বাড়ির পাশের পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি ও তার পরিহিত তোয়ালে উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভোররাতে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে মৎস্য হ্যাচারি মালিক শাহিনুর, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও মেয়ে তাসনিম সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ঘাতকদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যায় তাদের চার মাসের শিশু কন্যা মারিয়া সুলতানা।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর