প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

”মাদ্রাসা যেনো হারুন সিকদারের লুপাটের কারখানা ” শিরোনামে গত ১৯ শে অক্টোবর অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর এ সংবাদটি নিম্ম স্বাক্ষরকারীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

আমি বর্তমানে একজন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি, টেকনাফ উপজেলা শাখার কৃষি ও সমবায় সম্পাদক। তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ টেকনাফ উপজেলা শাখার সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলাম।

পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে এলাকায় সুখ্যাতি রয়েছে আমার। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ কাটাখালী রওজতুন্নবী (স:) দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি। সুনাম ও দক্ষতার সহিত মাদরাসা পরিচালনা করে আসছি।

সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার প্রাক্কালে মাদরাসা প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোর কোনো অস্তিত্বই ছিলনা। কয়েকটি বেড়া ও পুরাতন টিনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি কোনো রকম পাঠদান করে যাচ্ছিল।

দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এমপিও বিহীন মাদরাসার ২০১৩ সালে ১ কোটি ২২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একডেমিক ভবন নির্মিত হয়।

এই ভবনটি মানবতার মা জননী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। তার পাশাপাশি একটা টিনশেড বিল্ডিং, মসজিদ নির্মাণ, রবি টাওয়ার নির্মাণ, মাঠ ভরাট, বাউন্ডারী ওয়ালের একাংশ, ওয়াশ ব্লক ইত্যাদি অবকাঠামো আন্তরিক প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়।

সেই সাথে শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার মান, পরীক্ষার ফলাফল, পরিবেশ ইত্যাদির দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। অদ্যাবধি এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। মাদরাসা এমপিওভুক্তির প্রাক যোগ্যতা অর্জনের জন্য মাদরাসার শিক্ষক, কমিটির সদস্যগণ সহ আমার আন্তরিক প্রচেষ্টায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে উন্নতি হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত করেন।

মাদরাসার নথিপত্র পর্যালোচনায়, নিময়মিত শিক্ষকদের নিয়ে, পরিচালনা কমিটি মিটিং করে এমপিওর জন্য ১০ জন শিক্ষকের এমপিওভুক্তির জন্য তালিকা প্রেরণ করা হয় ও তা অনুমোদিত হয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ কাউকে কোনো উৎকোচ দেওয়ার, কারো স্বাক্ষর জাল জালিয়াতির প্রশ্নই আসেনা। সম্পূর্ণ সংশ্লিষ্ট বিধি মোতাবেক সকলের জ্ঞাতসারে সংরক্ষিত নথিপত্র ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের এমপিও সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এতে অনিয়ম ও সেচ্চারিতার অভিযোগ আনা হাস্যকর।

পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের মাসিক ফি ও রবি টাওয়ার বাৎসরিক ২৮ হাজার ৫০০ টাকা ব্যতীত বিকল্প কোনো আয় নেই। এ আয় নিয়ে নিয়মিত শিক্ষক ও খন্ডখালীন শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হয়। সে খানে যদি বলা হয় আর্থিক অনিয়মের কথা, তাহলে নিঃসন্দেহে কেবল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা।

পক্ষান্তরে অভিযোগকারী ও অপপ্রচারকারীরা মাদরাসাকে জামায়াত শিবিরের আস্তানা তৈরী করতে চেয়েছিল তা এখনো অব্যাহত রেখেছে। আমার কঠোর অবস্থান ও দায়িত্বশীলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি অভিযোগকারী ও অপপ্রচারকারী সহ আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধি তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে না পেরে প্রতিপক্ষদের যোগসাজসে মিডিয়া সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। এমনকি ঈর্ষান্বিত হয়ে চিহ্নিত চক্রটি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে কাল্পনিক, ভূয়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।

আসন্ন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় এবং আমার জনপ্রিয়তার প্রতি অতি ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষদের যোগসাজসে প্রতিবেদককে মিথ্যা তথ্য সর্বরাহ করেছে। এসব অপপ্রচারে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিভ্রান্ত না হতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী :

হারুনর রশিদ সিকদার
সভাপতি, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও
কৃষি ও সমবায় সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, টেকনাফ উপজেলা শাখা।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর