নরসুন্দা নদী যেন ময়লার ভাগাড়

এক সময়ের খরস্রতা নরসুন্দা নদী এখন দুষণের কবলে পড়ে যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার কোন ভাগাড় না থাকায় এখন সব নদীতেই ফেলা হচ্ছে। এতে নদীর পানি দূষিত হওয়ার পাশাপাশি দূর্গন্ধে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। পৌরবাসী নদীতে আর্বজনা না ফেলে নির্দিষ্ট কোন ভাগাড়ে ফেলার দাবি জানিয়ে আসলেও কোন কাজ হচ্ছে না।

জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে নান্দাইল পৌরসভাটি গঠিত হয়। বাজার ও আবাসিক এলাকা থাকায় প্রতিদিন এখানে প্রচুর আর্বজনার সৃষ্টি হয়। ২০১৮ সালে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পেলেও এখন পর্যন্ত ময়লা-আর্বজনা ব্যবস্থাপনার জন্য স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। ফলে পৌরসদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীই যেন ময়লা ফেলার ভাগাড়।

সরজমিনে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের সেতুর পূর্বপাশে নদীতে ময়লা ফেলা হচ্ছে। সেই ময়লা নদীতে ভেসে যাচ্ছে। এর ফলে সৃষ্ট দূর্গন্ধের কারণে পথচারীরা নাক চেপে ধরে চলাচল করছে। বাজারের আরেক পাশ দিয়ে নদীর একটি শাখা বের হয়েছে। ময়লা ফেলার কারণে সেই শাখাটি ভরাট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

নান্দাইল পৌরসভার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রথম শ্রেণিভুক্ত হলেও আমরা পৌর সভার তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিনা। নরসুন্দা নদীকে কেন্দ্র করেই পৌর সদর তৈরি হয়েছে। আর এখন পৌর সভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে সব নদীতে ফেলে পানি দুষিত করা হচ্ছে। নান্দাইল সরকারী শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আফেন্দি নূরুল ইসলাম বলেন, নরসুন্দা নদীটিতে এক সময় পাল তোলা নৌকা চলাচল করতো। নদীতে বছর জুড়েই ছিল স্রোত। দখল ও দুষণের ফলে নরসুন্দা এখন তার অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এই নদীকে কেন্দ্র করে বিশাল এক জনগোষ্ঠির জীবন-জীবিকা গড়ে উঠেছে। নদীতে বর্জ্য ফেলার কারণে মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।

নান্দাইল পৌরসভার মেয়র রফিক উদ্দিন ভূইয়া বলেন, নদীতে ময়লা ফেলার রীতি পূর্বে যারা মেয়র ছিলেন তাঁরাই চালু করে গেছেন। এ থেকে রক্ষা পেতে জমি খোঁজাখুজি করা হচ্ছে। জমি পাওয়া গেলে ময়লা ব্যবস্থাপনার কাজ সুষ্ঠভাবে করা যাবে।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর