শেরপুরে ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ

ধর্ষণের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলছে তোলপাড়, ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান জারী হলেও বগুড়ার শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় থেমে নেই ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মতো অসামাজিক ঘটনা। থানায় ও আদালতে মামলা হওয়ায় কয়েকজনকে এ অপরাধে জড়িত থাকায় গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তবে ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনা বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছে সচেতনমহল।

থানা সূত্রে জান যায়, শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে ছাতিয়ানি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত ১৯ অক্টোবর রাতে একই গ্রামের বকুল প্রামানিকের ছেলে মামুন প্রাং অপহরণ করে বগুড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষনের ঘটনাটি নিয়ে শহরের রেজিস্ট্রি অফিস এলাকার একটি দোকানে শালিশী বৈঠক বসে। এ খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওই শালিশী বৈঠক থেকে ধর্ষক মামুন প্রাং ও তার সহযোগী হৃদয় হাসান ওরফে রাব্বীকে গ্রেফতার করে ও ধর্ষিতা ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই রাতেই শেরপুর থানায় একটি ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা আরজিনা খাতুন বলেন, মামুন প্রাং দীর্ঘদিন ধরে তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসতো। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রামে শালিশী বৈঠকসহ থানায় জিডিও করা হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের দড়ি হাসড়া গ্রামের মোসলিম উদ্দিনের ছেলে ও বেলগাছি দাখিল মাদ্রাসার কৃষি বিষয়ক শিক্ষক রবিউল ইসলাম গত ১ বছর ধরে ভবানীপুর ইউনিযনের ইটালী গ্রামের মিলন ইসলামের স্ত্রী গৃহবধু রোজিনা বেগমকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রকাশ্য দিবালোকে বেলা ৩টার দিকে গৃহবধু রোজিনা বেগম তার স্বামীকে নিয়ে সংসারের জিনিসপত্র কিনতে ছোনকা বাজারে আসেন। গৃহবধু রোজিনাকে দেখে মাদ্রাসা শিক্ষক লম্পট রবিউল ইসলাম তার আনহা ফার্মেসি থেকে অর্থের লোভ দেখিয়ে তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। ওই গৃহবধু তাতে সাড়া না দিলে দোকান থেকে উঠে এসে তাকে ঝাপটে ধরে দোকানের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে রোজিনা ক্ষিপ্ত হয়ে পায়ের জুতা খুলে ওই লম্পটকে মারধরের চেষ্টা করলে বাজারের লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট শিক্ষক রবিউল ইসলাম দোকান বন্ধ করে চলে যায়। এ ঘটনায় অসহায় ওই গৃহবধূ গত মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসা শিক্ষক লম্পট রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে ওই শিক্ষক রবিউল ইসলাম সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে, তিনি কিছু বলতে নারাজ হয়ে পত্রিকায় লিখে কি করতে পারেন, করেন! বলে মন্তব্য করে ফোন কেটে দেয়।

এসব বিষয়ে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং গৃহবধুর শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর