ক‌রোনা কা‌লে কু‌ড়িগ্রামে নি‌র্বিঘ্নে চল‌ছে কো‌চিং বা‌ণিজ‌্য

মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলেও ,বন্ধ নেই কুড়িগ্রাম জেলার কোচিং সেন্টার গুলো ।সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করে কুড়িগ্রাম শহরে সব ধরনের কোচিং সেন্টার চালু রাখা হয়েছে। কোচিং সেন্টারগুলোয় প্রতিদিন সকালে ও বিকালে ক্লাস নিতেও দেখা যাচ্ছে। যেখানে মানা হচ্ছে না কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি।

শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার সময় কোন ধরনের মাস্ক পরিধান করতেও দেখা যায় না,এমনকি শিক্ষকরাও সেটি মানছেন না। কোচিং সেন্টার গুলোতে প্রবেশ করতে ও বের হতে নেই কোন ধরনের জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা। মানা হচ্ছে না ক্লাসে বসার ক্ষেত্রে সামাজিক দুরত্ব। এমতাবস্থায় এসব কোচিং সেন্টারগুলোতে করোনার প্রকোপ ছড়াতে পারে বলেও স্থানীয় অনেকেই আশংকা করছেন।

সোমবার(১৯ অক্টোবর) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলা শহরের হাটিরপাড়, হাসপাতাল পাড়া ও খেজুরের তল এলাকার স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কোচিং একাডেমি,প্রোগ্রেস কোচিং সেন্টার, নিউ ন্যাশনাল কোচিং সেন্টারসহ শহরের কয়েকটি কোচিং সেন্টার তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ও বিকাল বেলা তারা পাঠদান অব্যাহত রেখেছে।

ছবি: বার্তা বাজার।

এ ব্যাপারে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কোচিং একাডেমির পরিচালক আলী আহম্মেদ খন্দকার বলেন, “কোচিং তো চালু নয়,কোচিং চালু করলে ৬ষ্ঠ শ্রেনি থেকে পড়াতাম ।আমরা সুধু আগামী বছরের এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের স্বল্প পরিসরে কাছু শিক্ষার্থী পড়াচ্ছি ।”এতে কোন সরকারি নির্দেশনা অমান্য হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “করোনার লকডাউনের সময় আমরা কিভাবে চলবো সেটা কি আপনারা সাংবাদিতরা তুলে ধরেছেন ,আমাদের ঘর ভাড়া দিতে হবে,আমরা নির্দেশ অমান্য না করলে কি ভাবে চলবো? সবাই তো প্রাইভেট পড়াচ্ছে সেখানে কি করোনার প্রকোপ পড়ে না? বাধ্য হয়ে কোচিং এ ক্লাস নিচ্ছি।”

হাসপাতাল পাড়ায় অবস্থিত প্রগ্রেস কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ” আমাদের কোচিং পুরোপুরি চালু নয়,আমরা কিছু সংখ্যক দশম শ্রেনির শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যাচ আকারে প্রাইভেট পড়াচ্ছি মাত্র।”

এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনানুযায়ী স্কুল,কলেজ এবং কোচিং সেন্টার গুলো বন্ধ থাকবে। কোচিং চালু রাখার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেউ কোচিং সেন্টার খোলা রেখে কার্যক্রম চালালে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে দেশে কয়েক দফায় ছুটি দেয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছিলো শিক্ষা মন্ত্রনালয়।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর