রাতে সংঘর্ষ দিনে ভোট, বগুড়ায় চলছে উপনির্বাচন

বগুড়ার ধুনটের ২ নং কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন চলছে। সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ।

এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হারেজ উদ্দিন আকন্দ এবং মোটরসাইকেল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন শিপনসহ মোট ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সকাল থেকেই এই ইউনিয়নের অধিকাংশ কেন্দ্র ভোটার শূন্য দেখা গেছে।

এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে নৌকা ও মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাত ১০টায় নৌকা ও মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা হাঁসখালী গ্রামে নির্বাচনী কাজ করছিলেন। এ সময় দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে শিপনের সমর্থকদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।

সংঘর্ষে আহত নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা হলেন, ইশ্বরঘাট গ্রামের হারেজ উদ্দিনের ছেলে নাহিদ হাসান (১৮), ওসমান গনির ছেলে জুবায়ের আহমেদ (১৭), মাহাবুর আলীর ছেলে মিলন মিয়া (২৫), ইউনুস আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২৩), শাহাদৎ হোসেনের ছেলে মিশু (১৭)। আহতদের মধ্যে নাহিদ হাসান ও জুবায়ের আহমেদ ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

অপরদিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের আহত সমর্থকরা হলেন- কান্তনগর গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে বাবু (৪৫), আলাউদ্দিন খাঁনের ছেলে আরফান হোসেন (৪২) ও মোস্তফা জোয়ার্দারের ছেলে নাসির জোয়ার্দার (১৭)। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হারেজ উদ্দিন আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে মোটরসাইকেল প্রতীকের একদল কর্মী হাঁসখালী গ্রামে টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের বাঁধা দিলে তারা নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। এতে অন্তত ৫ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে সরকার দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন শিপন। তিনি বলেন, সোমবার রাতে মোটরসাইকেল প্রতীকের এজেন্টের বাড়িতে যাওয়ার সময় নৌকার কর্মীরা তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় তার কর্মীদের ৩টি মাটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া ৩ জন কর্মীকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার দলের প্রার্থীর লোকজন সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, হাঁসখালী গ্রামে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশের একটি মোবাইল টিম পাঠানো হয়। এ ঘটনায় কোনো প্রার্থীই থানায় অভিযোগ দেননি।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর