স্ত্রীকে ইমু ভিডিও কলে রেখে স্বামীর অত্মহত্যা

দিনাজপুর শহরে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ফিরোজ আলী (২০) নামের এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ঘটনাটি দিনাজপুর উপশহরস্থ দিনাজপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড খোদমাধবপুর মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় ঘটেছে। নিহত ফিরোজ এলাকার ওয়াহেদ আলীর ছেলে।

নিহতের মা ফরিদা বেগমের দাবি, তার ছেলে ফিরোজকে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে ফিরোজ তার সন্তানকে দেখতে গেলে সাবিনার পরিবার আমার ছেলেকে মারধর করে। সাবিনাদের বাড়ি থেকে আসার পর আমরা ফিরোজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই।

রবিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফিরোজের মাকে তার শ্বশুর মোবাইলফোনে জানান, “দেখেন তো, আপনার ছেলে গলায় ফাঁস দিয়েছে, ভিডিও কলে দেখা যাচ্ছে।” এ সময় এলাকার স্থানীয় লোকজন ফিরোজের ঘরের বন্ধ দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফিরোজকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানান, একই এলাকার সাহদুল ইসলামে মেয়ে সাবিনা খাতুনকে ২ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন ফিরোজ। বিয়ের পর এই দম্পতির প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। এরই মাঝে বছর ঘুরতেই সন্তানের বাবা হন ফিরোজ। সন্তান হওয়ার পরেও এই সম্পতির সংসারের অশান্তি শেষ হয়নি। স্ত্রী সাবিনা বাবার বাড়িতে থেকে এসএমএস ও ভিডিও কলে ঝগড়া করতেন। রবিবার রাতে সাবিনা ইমু মেসেঞ্জারে ও ফোন কলে মারার হুমকি দেয় ফিরোজকে। রাতে এক পর্যায়ে স্ত্রী সাবিনা ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দেয়। ফাঁস দেওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফিরোজের মাকে সাবিনার বাবা ফিরোজ গলায় ফাঁস দেয়ার বিষয়টি জানান।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, ফিরোজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় লাশটি ময়নাতদন্ত করা হয়।

নিহত যুবকের মা ফরিদা বেগম জানান, সাবিনা ও তার পরিবার আমার ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।

বার্তা বাজার/কে.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর