শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফার নেতৃত্ব একদল সন্ত্রাসী লোহার রড, লাঠিসোটা এনে আমাদের মোট তিনটি ঘর ভেঙ্গেচুরে দিয়ে গেছে এ সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন পরিবারের বেশ কয়েকজন। তারা বাড়িতে থাকা নগদ টাকা সোনার গয়না লুট করা ছাড়াও একটি টিউবওয়েল ও গাছপালা কেটে ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে যায়।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান পাটকেলঘাটার সেনেরগাঁতি গ্রামের বিমল মন্ডল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন সেনেরগাঁতী মৌজায় ১৭৭৮ দাগ মোট ৫৫ শতক সম্পত্তি। উক্ত ৫৫ শতকের মধ্যে সাড়ে ১৮ শতক সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্র প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছিলাম। উক্ত সাড়ে ১৮ শতকের মধ্যে কালিপদ মন্ডল ও মধুমন্ডল।
পিতার ওয়ারেশ হিসাবে উক্ত সাড়ে ১৮ শতক সম্পত্তির মালিক আমরা ৩ ভাই। কিন্তু একই এলাকার মৃত রামপদ মন্ডলের পুত্র তপন মন্ডল, রাজকুমার মন্ডল গং আমাদের সাড়ে ১৮ শতক সম্পতি না দিয়ছ ওই সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়। এর জের ধরে তারা প্রায় আমাদের ঘর বাড়ি ভাংচুর করে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করতো।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু উল্লেখিত দখলদার বাহিনীর আইন ও আদালতের তোয়াক্কা না করে গত ২৫/৫/২০১৯ তারিখে স্থানীয় ইউপি মেম্বার অর্থলোভী গোলাম মোস্তফার নেতৃত্ব তপন মন্ডল, রাজকুমার মন্ডল, মৃত তারাপদ মন্ডলের পুত্র ইদ্রজিত মন্ডল, হাজরা মন্ডলের পুত্র সুকুমার মন্ডল, রাধাপদ মন্ডলের পুত্র সুজিত মন্ডল, সনজিৎ মন্ডল, রণজিৎ মন্ডলের পুত্র বাসুদব মন্ডল, সুকুমার মন্ডলের পুত্র সুজন মন্ডল, শান্তি রাম মন্ডলের পুত্র কিনারাম মন্ডল, ইন্দ্রজিত মন্ডলর পুত্র শুভজিত মন্ডলসহ তাদের ১৫/২০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী লোহার রড, শাবল, কোদাল, হাতুড়ি ও বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়।
এসময় বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে আমাদর এনজিও কর্তৃক নির্মিত ২ টি ঘর ও আমাদের কষ্টের টাকায় নির্মিত ১সহ মোট ৩টি ঘর ভাংচুর করে গুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। আমার স্ত্রী নমিতা, বৌদী কালীদাসী ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অঞ্জু মন্ডল প্রতিবাদ করতে গেলে এলোপাতাড়ি মারপিট গুরুতর ফোলাজখম করে। সে সময় আমাদের ঘর থাকা নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণের গহনা লুটপাট করে এবং বাড়িতে থাকায টিউবওয়েল, গাছপালা, বিদ্যুৎ সংযোগ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামালা নষ্ট করে। আমরা পেশায় জেলে। সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করি।
বহু কষ্টে তীল তীল কর আমাদের সারাজীবনের জমানো সম্পদগুলো এক মুহুর্ত ওই বাহিনী নষ্ট করে দিলো। এই তীব্র গরমের মধ্যে আমরা বর্তমান খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছি।
এরপরও তারা আমাদের ওই সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের জন্য পায়তারা অব্যাহত রেখেছ। তারা প্রকাশ্য হুমকি প্রদর্শন করে বলছে যে কোন সময় আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে নিবে, প্রয়োজনে আমাদের খুন জখম করবে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করবে।
আমরা অসহায় নিরীহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হিসেবে ওই দখলদারদের হাত থেকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তির রক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।