বেল্ট খুলে খালেদাকে প্রায়ই পেটাতেন জিয়া: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কোমরের বেল্ট খুলে তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে প্রায়ই পেটাতেন বলে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সোমবার রাতে স্বাধীনতার ৪৮তম বার্ষিকী সামনে রেখে এক লাইভ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জানতে চান খালিদী।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর উদ্দেশে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ১৯ মার্চ যেদিন আপনার নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়েছিল, সশস্ত্র প্রতিরোধ হয়েছিল সেদিন আপনারা মেজর জিয়াউর রহমান নামে কাউকে চিনতেন?

এর উত্তরে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘আরে দূর এটা চেনার প্রশ্ন নেই। তবে আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। কারণ মেজর জিয়া এর আগে গাজীপুরে ছিল। এই সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল দেওয়ার আগে যে রেজিমেন্টটা ছিল সেখানে সেটা নিয়ে তো ক্রাইসিস ছিল…।’

তার সঙ্গে আপনার কোনো ইন্টারেকশন ছিল কি না- খালিদীর এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘না, কোনো ইন্টারেকশন হয়নি। তবে যেভাবে মানুষ তাকে চিনতো সেটা পার্সোনাল। এ ব্যাপারে আমি একটা মৃত ব্যক্তির সম্বন্ধে বলতে চাই না।’

এ সময় মন্ত্রীকে থামিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ইতিহাস কিন্তু এটা বলে…। তখন মন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে এটা বলতেই হয়, উনি রাজবাড়ির মাঠের পাশের বিল্ডিংয়ে থাকতেন। রাস্তার পাশেই। প্রায়শই তার স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হতো এবং অনেকেই সেটা স্বচক্ষে দেখেছি। আমাদেরও সুযোগ হয়েছিল, কোমরের বেল্ট খুলে সে পেটাতো তার ওয়াইফ বেগম খালেদা জিয়াকে। ’

মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ‘তখন অনেক গুজব শোনা যেতো। কেন তিনি তার ওয়াইফকে মারেন? আমি তার পার্সোনাল ক্যারেক্টার অ্যাসোসিনেশনের জন্য যেতে চাই না। এনিওয়ে ওইভাবেই চিনতাম, পরিচয় ছিল না। তবে চিনতাম যে জিয়াউর রহমান আছে। ’

মোজাম্মেল হক বলেন, “তিনি (জিয়া) দরখাস্ত করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। সেনাপ্রধানসহ অন্যান্যরা অটোমেটিক্যালি হয়েছিল। “তিনি আবেদন করে বলেছেন যে, আমি সেবা করার সুযোগ চাই। অথচ বঙ্গবন্ধু হত্যার এক মাসের মাথায় তিনি বললেন, বাকশাল শব্দটা একটা গালি।”

ধর্মভিত্তিক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক হলেও ধর্মীয় কাজে জিয়াউর রহমানের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না বলেই মন্তব্য করে প্রবীণ রাজনীতিক মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, “ক্যান্টনমেন্টে (জয়দেবপুর) তখন কোনো মসজিদ ছিল না। নামাজ পড়তে হলে জয়দেবপুর বাজার মসজিদই একমাত্র মসজিদ ছিল। উনি ওখানে তিন বছর অবস্থান করেছেন বোধহয়, কোনোদিনও তিনি নামাজে গিয়েছেন, আমি অন্ততপক্ষে দেখি নাই। অন্য কোনো মানুষ দেখছে বলে আমার জানা নাই।”

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর