অংগ্য মারমা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি মহালছড়িতে সরকারি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি চাকরি বিধিমালা ভঙ্গ করে দিনের পর দিন অনুপস্থিত তিনি। এছাড়া আগাম অসুস্থ হওয়ার কথা বলে দেড় মাস ধরে লাপাত্তা তিনি। উপজলো স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একাধকিবার তাকে কর্মস্থলে উপস্থিতি হওয়ার কথা বললেও পাত্তা দেয়ননি তিনি।
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি আবেদন করলে তাতে অসঙ্গতি থাকায় ছুটি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তারপরও দেড় মাসের বেশী সময় ধরে তিনি অনুপস্থিত রয়েছে। ফলে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে পুরো উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা। রোগীদের বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত ৩-৪ মাস থেকে পাশ্ববর্তী জেলার রাঙামাটি থেকে বদলি হয়ে মহালছড়ি মেডিক্যাল
অফিসার হিসেবে যোগদান করেন ডা: আকাইপ্রু। ২রা এপ্রিল থেকে হাসপাতালে তিনি অনুপস্থিত থাকলেও ১৮ এপ্রিল উপজলো স্বাস্থ্য ও পরবিার পরকিল্পনা র্কমর্কতা বরাবর ছুটির আবেদন করেন। আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ্য করেন ২১ এপ্রিল হতে শারীরীক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে কর্মক্ষেত্রের উপস্থিত হতে অপরাগ। আবেদনে আরো তিনদিন পর আগাম অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটির আবেদনে বিস্মিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মহালছড়ি উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক ডা. তনয় তালুকদার জানান,বর্তমানে আমি একা হওয়ার
বাড়তি রোগী সামলাতে হচ্ছে। প্রায় টানা ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। বাড়তির রোগীর চাপ সামলাতে
গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।
এই বষিয়ে জানতে ডা.আকাইপ্রুকে একাধকিবার ফোন করলেও তিনি কলটি ধরেননি। এছাড়া মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি তার কোন জবাব দেয় নিই।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে খাগড়াছড়রি সিভিল সার্জন মো.ইদ্রীস মিঞা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত। সম্প্রতি সরেজমিনে মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গিয়ে তাকে অনুপস্থতি পাওয়া যায়। এর আগেও তাকে অনুপস্থিত জন্য মৌখিকভাবে সর্তক করা হয়। হাসপাতালে নিয়মিত উপস্থিত না হওয়া ১৯৮৫ সালে সরকারি কর্মচারী শৃংঙ্খলা পরিপন্থী। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।