নীলফামারীতে যৌতুকের জন্য গৃহবধুকে নির্যাতন,আটক ২

তারিকুল ইসলাম সোহাগ,নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামরীর ডিমলায় রোববার সকালে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাখুলি গ্রামে গৃহবধুকে যৌতুকের জন্য মারপিট করে বেঁধে রাখার সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য ওই গৃহবধুর পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে গৃহবধুর তিনভাই ও তার মাতাসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে।

এ ঘটনায় ডিমলা থানা পুলিশ জড়িত ২জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, সফিয়ার রহমানের কন্যা মারুফা বেগম (২৫) এর সাথে একই গ্রামের মজনু মামুদের পুত্র শাহ-আলম (৩০) এর সাথে গত ৯ বছর পূর্বে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৪টি সন্তান জন্ম হয়। বিবাহের কিছুদিন পর হতে মারুফার স্বামী শাহ-আলম, দেবর মানিক (২৮) ও আবেদ আলী (২৫), শাশুরী বেগম বানু (৫৫), প্রতিবেশী মৃত নজরুলের পুত্র অলিয়ার রহমান (৪০) এর উস্কানীতে ২লাখ টাকা যৌতুক দাবী করিয়া নির্যাতন করে আসছিল।

এ বিষয় একাধিকবার স্থানীয় ভাবে মিমাংসা হয়। সর্বশেষ ঘটনার আগের দিন গত শনিবার শাহ-আলম তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন না করার শর্তে মারুফাকে শাহ-আলমের বাড়ীতে লইয়া যায়। শাহ-আলম তার স্ত্রী মারুফাকে নিজ বাড়ীতে লইয়া গিয়া পূন:রায় যৌতুকের জন্য শাহ-আলম ও তার পরিবারের লোকজন মারুফাকে বেধরক মারপিট করে। এর একপর্যায় রোববার সকালে মারুফাকে বেধরক মারপিট করে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখে।

এ সংবাদ পেয়ে মারুফাকে উদ্ধারের জন্য তার ভাই মোশলেম, মোনাব্বুল, মাতা মোসলেমা বেগমসহ তার চাচাতো ভাই মকছেদ আলী গেলে শাহ-আলম ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এলাকাবাসী গুরুত্বর আহত অবস্থায় জখমীদের ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সংবাদ পেয়ে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনায় জড়িত ওই গৃহবধুর দুই দেবর আবেদ আলী ও মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয় গৃহবধুর ভাই মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে ৫জনের নামে ডিমলা মামলা দায়ের করেছেন।
ডিমলা থানার অফিসার ইনর্চাজ মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার মূল নায়ক শাহ-আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর