মহালছড়িতে নিংপ্রুসাই দু’সন্তান শারিরীক বিকলাঙ্গ

অংগ্য মারমা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় অদূরে চৌংড়াছড়ি রোয়াজা পাড়াতে হতদরিদ্র নিংপ্রুসাই মারমা ও আরেমা মারমা পরিবারে চার ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার। বড় মেয়ে অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের দু’সন্তান উচিংমং মারমা (১৩)ও থুইসানু মারমা (১১) হাত ও পা চিকন হয়ে শারিরীক বিকলাঙ্গ। মেঝো ছেলে থুইসাচিং মারমা (৯) ও সবচেয়ে ছোট ছেলে সুঁইসাচিং মারমা (৭) সুস্থ দু’জনে শারিরীক বিকলাঙ্গ হওয়া পর্যায়। কষ্টের সংসার মাঝে বড় সন্তান উচিংমং মারমা জম্মের ছয় বছর বয়সে হঠাৎ জ্বর হওয়ার পর হাত পা অবশ হয়ে এখন দিনদিন পুরো শরীল চিকন হয়ে গেছে। এদিকে থুইসানু মারমাও তিন বছর পর একই অবস্থায়। বাড়িতে দু’ভাই একেবারে পঙ্গু। স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারেনা। তাদের চলাফেরা একমাত্র অবলম্বন কাঠের টুকরো (পিঁড়াতে)।

দু’সন্তানকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ডাক্তার দেখানো পর কোন রোগ নির্নয় করতে পারি নিই। স্থানীয় ডাক্তারা উন্নত চিকিৎসার পর্রামশ দিলেও টাকা অভাবে নিংপ্রুসাই সন্তানদের চিকিৎসার করতে পারি নিই। এ দু’জন বিকলাঙ্গ সন্তানদের চিকিৎসা দূরে থাক সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিংপ্রুসাই মারমা। তাদের সংসারে উপার্জন ব্যক্তি হলো নিংপ্রুসাই। তিনি প্রতিবন্ধির প্রায়। পাহাড়ের গাছ কাঁটতে গিয়ে কুঁদালে আঘাতে তার ডান পায়ে শিরা কেটে গেছে। চিকিৎসার পর সুস্থ হলেও স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারে না। লাঠিতে ভর দিয়ে চলাফেরা করছেন তিনি।

চিকিৎসা অভাবে দু’সন্তান শরীল দিনদিন খারাপ দিকে যাচ্ছে। মেঝো থুইসাচিং মারমা ও সবচেয়ে ছোট সন্তান সুইসাচিং মারমা দু’জনে বড় ভাইদের রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। হাত ও পা ঘিরাঘিরা ব্যাথা হচ্ছে বলে জানান।

উচিংমং মারমা ১ম শ্রেণী ও থুইসানু মারমা শিশু শ্রেণীতে দু’জন কারিতাস আলোঘর (লাইট হাউজ) প্রকল্প চট্টগ্রাম অ লে অধীনে পরিচালিত খাগড়াছড়ি সিঙ্গিনালা আলোর দিশারী দৃষ্টি ও শারিরীক প্রতিবন্ধির শিক্ষালয়ে এক বছর লেখাপড়া করেছে। তাদেরকে সাপ্তাহের দু’দিন খাগড়াছড়ি জেলার প্রতিবন্ধির উন্নয়ন কেন্দ্রের বিশেষ ভাবে থেরাপি দেয়ার হতো। তখন কিছুটা শারিরীক ভালো ছিল বলে জানান উচিংমং মারমা। কিন্তু এক বছর পর আলোর দিশারী শিক্ষালয় প্রতিষ্টানটি আর্থিক সংকট থাকার বন্ধ হয়ে যায়। তার দুজনে নিজের বাড়িতে চলে যাওয়ার থেরাপি দেয়াও বন্ধ হয়ে যায়।

নিংপ্রুসাই মারমা পরিবারে দাবি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারে মাধ্যমে পরীক্ষা ও নিরিক্ষা করে চার সন্তানের সুচিকিৎসার জন্য সরকারে পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তির এগিয়ে আসার আহ্বান করেন।

মহালছড়ি উপজেলার ১নং মহালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল বলেন নিংপ্রুসাই পরিবারে দু’ সন্তান শারিরীক বিকলাঙ্গ, আরো সুস্থ ছোট দু’সন্তান শারিরীক বিকলাঙ্গ হওয়া পর্যায়। এই নিংপ্রুসাই চার সন্তান পরিবারে বোঝা, অন্যদিকে সমাজের এবং দেশের বোঝা। সেজন্য এই ৪ জনকে উন্নত সুচিকিৎসার সরকারে হাত বাঁড়ানো জোর দাবি করেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর