যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের ২০ হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎ বঞ্চিত

অংগ্য মারমা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের ২০ হাজার বাসিন্দা এখনও বিদ্যুৎ বঞ্চিত। উপজেলা সদর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব হলেও অজানা কারণে স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও অন্ধকারাচ্ছন্ন বিশাল এই ইউনিয়ন। এতে করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে পিছিয়ে যোগ্যছোলা জনগণ। ইউনিয়নে পাহাড়ী, বাংঙ্গালী বসবাস।

প্রত্যন্ত কোন অ ল নয়, মানিকছড়ি উপজেলা সদর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরত্বের যোগ্যছোলা ইউনিয়ন। চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি জেলার ৪৫ কিলোমিটারে নিকটতম মানিকছড়ি উপজেলার। এই উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নে প্রাকৃতিক সেমুতাং গ্যাস ক্ষেত্রসহ সৌন্দর্য্যে বিশাল নেপচুন চা বাগান রয়েছে। এ চা বাগানে ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফর ছাড়া ভ্রমন পিয়াসীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে নেপচুন চা বাগানে ঘুরে আনন্দ উপভোগ করে। বর্তমান সরকার যেখানে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এলাকা ঘোষণা করছে সেসময়ে উপজেলা সদরের কাছের একটি ইউনিয়নের কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগই নেই। অথচ এ এলাকার সেমুতাং গ্যাস ক্ষেত্রের সরবরাহ করা গ্যাসে আলোকিত হচ্ছে পাশ^বর্তী চট্টগ্রাম জেলার অনেক এলাকায়। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা বাণিজ্য ও কৃষি খাতে পিছিয়ে থাকায় ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে না এলাকার জনগণের। বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে বিভিন্ন সময়ে ধরনা দিয়েও কাজ না হওয়ায় হতাশ স্থানীয়রা।

মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন এলাকার অর্থনৈতিক ও আত্মসামাজিক উন্নয়নে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ অত্যন্ত প্রয়োজন। এদিকে কেন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না এ ব্যাপারে জানতে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করা হলেও উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতির দোহাইয়ে কেউ কথা বলেনি। দ্রুত বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পেয়ে আলোকিত হবে এই অ ল এমনটাই প্রত্যাশা যোগ্যছোলাবাসীর।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর