ত্রিশালে খিরু ও নাগেশ্বরী নদীতে বানার বাঁধ অপসারণ অভিযান
দীর্ঘদিন ধরেই ময়মনসিংহের ত্রিশালের সুতিয়া, শিলা, খিরু ও নাগেশ্বরী নদীতে ২/৩ কিলোমিটার পরপর বাশেঁর বেড়া ও বানা পেতে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছিলেন স্থানীয়রা।
৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার দিনভর খিরু ও নাগেশ্বরী নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ৮টি বাঁধ অপসারন করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তরিকুল ইসলাম তুষার।
বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খিরু ও নাগেশ্বরী নদীতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের বাগান গ্রামের কবির হোসেন, আউলটিয়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক, হরিরামপুর ইউনিয়নের মাগুরজোড়া গ্রামের চাঁন মিয়া, রায়মনি গ্রামের বাবুল হোসেন, গোলাভিটা গ্রামের আবদুল কাদির, হরিরামপুরের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের জুয়েল, গোপালপুর গ্রামের পঙ্গস ও তাদের সহযোগিদের অবৈধভাবে নদী জুড়ে দেয়া বাঁধ অপসারন করা হয়।
অভিযানকালে স্থানীয় আবুল কালাম, আনোয়ার হোসেন, ফজলুল হক ও জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্যরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা কিছুদুর পরপর এভাবে বানা দিয়ে মাছ শিকারের ফলে আগের মতো নদীপাড়ের মানুষগুলো এখন আর বছরজুড়ে মাছ ধরে খেতে পারেনা। রাক্ষসের মত ওরাই প্রায় সব মাছ শিকার করে ফেলে।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) তরিকুল ইসলাম তুষার জানান, নদী হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। নদীর মাছের ওপর সকলের সমান অধিকার রয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ নদীতে বাশেঁর বেড়া ও বানা পেতে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে অন্যদের অধিকার হরন করছে।
বার্তাবাজার/জুলভার্ন