২০ দিন পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছলেন “হানিফ বাংলাদেশী ” (ভিডিওসহ)

বাংলাদেশের সীমান্ত গুলোয় বিচারবর্হিভুত হত্যা বন্ধের দাবীতে প্রতীকী লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত অভিমুখে একক পদযাত্রা শুরুর ২০তম দিনে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় গিয়ে পদযাত্রা শেষে করেছেন হানিফ বাংলাদেশী।

আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) তিনি হেঁটে নির্মম হত্যার শিকার কিশোরী ফেলানীর উপজেলা নাগেশ্বরী’তে গিয়ে তিনি তাঁর দীর্ঘ ২০ দিনের পদযাত্রার সমাপ্তি করেন। পদযাত্রা শেষে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা ২টায় নাগেশ্বরী উপজেলা মুক্তমঞ্চে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি, রায়গঞ্জ ইউনিয়ন শাখা। এরপর স্বল্প পরিসরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শহীদ ফেলানীর বাবা-মা। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি সকালে রাজারহাট হয়ে কুড়িগ্রামে প্রবেশ করেন।

মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আব্দুল মান্নান প্রধান, সাদিকুল ইসলাম,আহমেদ বাবু এবং হানিফ বাংলাদেশী। এসময় শহীদ ফেলানীর বাবা-মা ফেলানী সহ সীমান্তে বিচারবহির্ভূত প্রতিটি হত্যার বিচার দাবী করেন।

উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং শুক্রবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একক পদযাত্রা শুরু করেন হানিফ বাংলাদেশী।

পদযাত্রা সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশি ও বন্ধুপ্রতীম দেশ। আমরা চাই ভারত প্রতিবেশির সাথে মানবিক আচরণ কর”ক কিন্তু প্রতিনিয়তই ভারতের বিএসএফ নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যা করে চলছে। হতে পারে তারা গরু চোরাকারবারি, এদের আইনের আওতায় বিচার করা হোক।

যখন যে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তারা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্যে ভারতে তোষামোদী ছাড়া জনগণের জানমাল ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোন সরকারই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। এই সরকারের ১২ বছরের শাসন আমলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভূ-খন্ডের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে প্রায় ৫০০ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ।

গত ১৯৯৬ সাল থেকে ২৫ বছরে ১২৬৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে প্রায় ৩ হাজার বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ। শাসক দলগুলোর দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এবং ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার হীনস্বার্থে ভারত তোষণ নীতির কারণে বিএসএফ ধারাবাহিক হত্যাকান্ড-চালিয়ে যেতে পারছে।

অথচ আমরা দেখেছি অপেক্ষাকৃত ছোটদেশ নেপালের একজন নাগরিককে হত্যা করার পর নেপালের জনগণ ও সরকারের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছিল ভারত।”

তিনি বলেন, “আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, অবিলম্বে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যাকান্ড-বন্ধ করতে হবে। বহুমাত্রিক কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ভারতের সাথে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীন ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিবেশীর সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে।”

সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি হানিফ বাংলাদেশী’র

সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি: ২০ দিন পর পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে "হানিফ বাংলাদেশী "বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনhttp://bartabazar.com/archives/218560

Gepostet von Barta Bazar am Mittwoch, 30. September 2020

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর