শেষ মূহুর্তে প্রতিমার অর্ডার আসায় হিমশিম খাচ্ছেন মালাকররা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামী ২২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) থেকে ।

মহামারী করোনার কারণে এবার দুর্গাপূজার আনন্দ অনেকটা ম্লান হতে চলেছে। প্রতিবছরের মতো এবার পূজার সেই পুরোনো সংস্কৃতি অনেকটা লুকিয়ে থাকবে অগোচরে। বাইরে ঘুরতে যাওয়া, পূজার মণ্ডপগুলোতে নানা ধরণের আয়োজন থাকছে না।এবারের শারদীয় উৎসবের সব ক্ষেত্রেই থাকছে স্বাস্থ্যবিধির কড়া নির্দেশ। আর করোনার এই সময়ে পূজো হওয়াতে খুশি কুড়িগ্রামের প্রতিমা শিল্পীরা (মালাকর)। তবে শেষ মূর্হুতে পুজার প্রতিমা বানানোর অর্ডার পেয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মালাকররা। অনেকের পর্যাপ্ত সময় না থাকার কারনে ইচ্ছে না থাকা সত্বেও নিতে পারছেন না প্রতিমার অর্ডার ফিরিয়ে দিচ্ছেন আয়োজকদের ।

করোনা পরিস্থিতির কারণে কীভাবে হবে দুর্গাপূজা সে অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে এতদিন চলছিলো আলোচনা, শেষ মূহুর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজা করতে অনেক আয়োজক কমিটি রাজি হলেও, সময় বেশি না থাকার কারণে অনেক প্রতিমার মালাকররা নিচ্ছেন না অর্ডার। অল্প সময়ে যে কয়টি অর্ডার নিতে পেরেছেন সেইসব প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। প্রতিমা শিল্পীরা দিন রাত কাজ করছেন। মাটির তৈরি প্রাথমিক কাজ শেষ করেছেন। কেউ কেউ মাটিকে সুন্দর, মসৃন ও দৃর্ষ্টিনন্দন করার জন্য তুলির আচঁড় দিচ্ছেন।

কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার প্রতিমা তৈরির মালাকর শ্রীমতি পঞ্চমী রানী পাল বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময় ১০-১২টি পূজামণ্ডপে কাজ করে থাকি এ বছর মাত্র ৫ টি পূজামণ্ডপের কাজ করছি। এবার শেষে অর্ডার দেয়ায় বেশি অর্ডার নিতে পারছি না।

একই এলাকার মালাকর শ্রী সুধাংশ চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রতি বছর জেলার বাইরে থেকে আমার এখানে অর্ডার আসে, রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা থেকে লোকজন প্রতিমা নিয়ে যায়। এবার সময় নেই, করোনার কারনে সবাই অল্প সময়ে অর্ডার দিচ্ছে, আমরা বেশি অর্ডার নিতে পারছি না।

সদর উপজেলার ঘোগাদহ এলাকার শ্রী গনেশ মালাকর জানান,” অর্ডার কম হলেও এ বছর প্রতিমার দাম তার কম পাচ্ছেন না, প্রতিমা তৈরীর উপাদানের দাম বেশি হওয়ার কারনে গতবছরের তুলনায় এবছর তার বেশি দাম পাচ্ছেন প্রতিমা তৈরীর মালাকররা।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট, দাশেরহাট, কাঁঠালবাড়ি, ঘোগাদহ, পালপাড়া, যতিনেরহাটসহ কয়েকটি প্রতিমা তৈরীর জায়গায় দেখা যায় একই চিত্র। এসব এলাকার মালাকররা(প্রতিমা শিল্পী) সময় বেশি না থাকার কারনে খুব অল্প অর্ডার নিচ্ছেন। অনেক সময় অর্ডারের চাপ বেশি থাকার কারনে নতুন নতুন মালাকরদের সেইসব অর্ডার চুক্তিভিত্তিকে ভাগ করে দিচ্ছেন। তবে অর্ডার সীমিত নিলেও মালাকররা এবছর প্রতিমার দাম সঠিক পাচ্ছেন বলে মনে করেন অনেক মালাকর। এ বছর প্রতিটি প্রতিমা ১৮ হাজার থেকে শুরু করে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলায় এবছর শারদীয় দূর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫০৮ টি পূজা মন্ডপে।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর