কক্সবাজারে কমিউনিটি পুলিশিং থাকবে না-ডিআইজি আনোয়ার
ইয়াবার আগ্রাসন নির্মূল করতে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত থাকবে এবং মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে রাষ্ট্রীয় নীতিতে অটল থাকবে পুলিশ। নতুন মাদক কারবারীদের তলিকা করে প্রত্যেকে রেকর্ড যাচাই করা হবে এবং জেলার সীমান্ত এলাকাগুলোতে মাদক পাচার রোধে পুলিশের অবস্থান আরো শক্তিশালী করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।
কমিউনিটি পুলিশের দরকার নেই। প্রয়োজনে কলিউনিটি পুলিশের গোটা ইউনিট বাদ করে দেয়া হবে। আজ বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়া থানা পরিদর্শনকালীন প্রেস ব্রিফিং কালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জেলার পুরাতন পুলিশ সদস্যদের বাদ দিয়ে গোটা জেলায় পুলিশের সম্পূর্ণ একটি নতুন সার্কেল কাজ করছে। এখন থেকে অন্তত মাসে দুই বার কক্সবাজার জেলার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসা হবে। ইয়াবার প্রবেশধার খ্যাত সীমান্তবর্তী অঞ্চল উখিয়া ও টেকনাফকে বিশেষভাবে মনিটরিং এর আওতায় আনা হবে।
জেলার পুলিশকে পূর্ণ পেশাধারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ হয়েছে। পুলিশ হবে জনবান্ধব এবং থানা হবে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। জেলার প্রতিটি থানাকে সম্পূর্ণ রূপে দালাল মুক্ত করা হবে। থানায় যদি কেউ কোন তদবির করতে আসে তাকে দালাল হিসেবে আটক করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, স্ব স্ব এলাকার প্রত্যেক স্থায়ী নাগরিক কমিউনিটি পুলিশের সদস্য, সুতরাং এখন থেকে কমিউনিটি পুলিশের দরকার নেই। সমাজের এক শ্রেণীর টাউট-বাটপার, দালাল, মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখন কমিউনিটি পুলিশের সাথে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাচাই করে প্রয়োজনে কমিউনিটি পুলিশের গোটা ইউনিট বাদ করে দেয়া হবে।
ডিআইজির সফরকালে কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শাকিল আহমেদ ও উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ মঞ্জুর মোরশেদসহ অন্যান্য অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেএস/বার্তাবাজার