ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: লম্বা দাঁড়ি-চুল ক্লিন শেভ করেও রক্ষা হয়নি তারেকের

মুখ ভর্তি ছিল দরবেশের মত লম্বা লম্বা দাঁড়ি। কিন্তু দাঁড়ি দিয়ে চেহারায় ভালমানুষী দেখালেও অন্তরে ছিল একটা অমানুষ। আর তাই সিলেটের এমসি কলেজে বেড়াতে আসা স্বামীকে আটক রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের নারকীয় উল্লাসে শরিক হতে একবারও ভাবেনি ছাত্রলীগ কর্মী তারিকুল ইসলাম তারেক।

ধর্ষণের ঘটনা পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল সে। মাথা ন্যাড়া করে, মুখ ভর্তি দাঁড়ি ক্লিন শেভ করে ফেলে দিয়ে পালটে ফেলে নিজের চেহারা। কিন্তু র‍্যাবের চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি। আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় তাকে সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে আটক করে র‍্যাব-৯ এর একটি দল। এর মধ্য দিয়ে ওই ঘটনায় জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতারে সমর্থ্য হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এর আগে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক খেয়াঘাট এলাকা থেকে গণধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি এম সাইফুর রহমানকে ও হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিন সন্ধ্যায় মামলার আরেক আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার কিছুক্ষণ পরেই হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে মামলার অন্যতম আসামি রবিউল হাসানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এর পর রাত ১টার দিকে ফেঞ্জুগঞ্জের কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে রাজন আহমদ (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯ এর একটি দল। সে ওই মামলাটির অজ্ঞাত আসামি। এসময় তাকে পালিয়ে থাকতে সহায়তা করায় আইনুল ইসলাম নামে আরেকজনকেও আটক করা হয়। পরে রাতেই রাজন ও আইনুলকে সিলেট নিয়ে আসা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের টিলাগড় এলাকায় স্বামীর সাথে প্রাইভেটকারে ঘুরতে যান দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার ওই তরুণী। তারা বেশ কিছুক্ষণ মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ক্যাম্পাসে সময় কাটান। তখন অভিযুক্তরা স্বামীকে আটকে রেখে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করে।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর