কুড়িগ্রামে গৃহবধূ হত্যা, ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে লাইলী বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে আব্দুস ছাত্তার (৫৬) নামের এক ব্যাক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি আব্দুস ছাত্তার কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বাইমমারী এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।
নিহত লাইলী বেগম একই উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বাইমমারী এলাকার শামসুল হকের স্ত্রী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রৌমারী উপজেলার বাইমমারী গ্রামের শামসুল হকের সাথে ৫৮ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে বিগত ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে আব্দুস ছাত্তার লোকজন নিয়ে বিরোধী জমিতে ধান কাটতে শুরু করে। এ খবর পেয়ে শামসুল হক ও তার স্ত্রী লাইলী বেগমসহ পরিবারের লোকজন ধান কাটতে বাধা দেয়। এ সময় আব্দুস ছাত্তার বল্লম দিয়ে লাইলী বেগমের কপালে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত লাইলী বেগমকে উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার কিছু সময় পর তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত গৃহবধূ লাইলী বেগমের স্বামী শামসুল হক বাদি ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর আব্দুস সাত্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।দীর্ঘ ১০ বছর শুনানী শেষে আজ মামলার রায় পেয়ে খুশি নিহত লাইলি বেগমের স্বামী সামছুল হক। তিনি বলেন,”আব্দুস ছাত্তার আমার জমির ধান চুরি করছে,এটা আমার স্ত্রী দেখে ফেলায় সে শাবল দিয়ে আমার স্ত্রী আঘাত করে হত্যা করে, তার মৃত্যুদন্ড দিছে আমি খুশি। “বাকি খালাস ৬ জনের বিষয়ে বলেন,বাকি ৬জন ছাত্তারের সাথে সঙ্গ দিছে, তাদের বিচার আল্লাহ করবে।”
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি আব্রাহাম লিংকন। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমির আলী।
বার্তাবাজার/কে.জে.পি