সাহেদ ভদ্রবেশী ধুরন্ধর প্রতারক, তাকে ক্ষমা করা যায় না: আদালত

আসামি সাহেদের আচরণ আমাকে অবাক করেছে। সাহেদ একজন চতুর অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন, তার গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হলেও আদালতে বার বার সাহেদ গাড়িটি নিজের নয় বলে দাবি করেছিল। পরে গাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশনের নথি সামনে আসতেই সে স্বীকার করল।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় পড়ার শুরুতেই আদালত এসব মন্তব্য করেন।

বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস বলেন, সাহেদ একজন ভদ্রবেশী ধুরন্ধর প্রতারক। তাকে ক্ষমা করা যায় না। তাই সাহেদের বিরুদ্ধে আদালতে দেয়া ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্য আমলে নিয়ে তাকে দোষী সাবাস্ত্য করলাম।

আদালত আরও বলেন, যে রায় দিতে যাচ্ছি তা সমাজের অন্য যারা ভদ্রবেশী প্রতারক আছে, তাদের জন্য দৃষ্টান্ত হবে। এরপরপরই বিচারক বিদেশি পিস্তল রাখায় অস্ত্র আইনের ১৯ এর ‘ক’ ধারা অনুযায়ী সবোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে এ আইনের ‘চ’ ধারা অনুযায়ী গুলি রাখার দায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন সাহেদকে। রায় শোনার পরপরই অনেকটাই ভেঙে পড়েন কাঠগড়ায় থাকা সাহেদ। তাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।

অন্যদিকে, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন সাহেদের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, সাহেদ লঘু পাপে গুরু দণ্ড পেয়েছেন।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর