সিরাজগঞ্জে চালের দাম বৃদ্ধি, বিপাকে ক্রেতারা

পেঁয়াজের দামের অস্থিরতা কাটতে না কাটতেই সিরাজগঞ্জে দফায় দফায় চালের দাম উর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষগুলো। হতাশায় কাটছে তাদের দিনগুলো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারী ও খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকহারে।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের বানিয়াপট্টিতে ঘুরে এমনই দৃশ্য ছিলো চোখে পড়ার মতো। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পাইকারী বাজারে ৫০ কেজির বস্তা চালের দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। একই সঙ্গে খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। পাইকাররা বলছেন, ধানের দাম বেড়ে যাওযায় মিল মালিকরা চালের দাম বেশি নেওয়ায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকাররা দাম বেশি রাখায় খুচরা বিক্রেতা হিসেবে আমাদেরও বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে। ক্রেতারা বলছেন, দফায় দফায় চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। এভাবে চালের দাম বাড়লে আমাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাহিরে চলে যাবে।

অপরদিকে, এক সপ্তাহ আগে বিআর-২৮ চালের পাইকারি দাম ছিলো ৪৩ টাকা, বর্তমানে ৪৬ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪৮ টাকা, বিআর-২৯ চালের পাইকারি দাম ছিলো ৪০ টাকা, বর্তমানে ৪২ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪৪ টাকা, মিনিকেট চালের পাইকারি দাম ছিলো ৪৬ টাকা, বর্তমানে ৪৮ টাকা ও খুচরা ৫২ টাকা, কাটারি চালের পাইকারি দাম ছিলো ৪৭ টাকা, বর্তমানে ৪৮ টাকা ও খুচরা ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাল কিনতে আসা গৃহবধু জেসমিন আরা, কবির আলী, আফাজ আলী, টুক্কা মন্ডল বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে চালের দাম এতো বেড়েছে যে চাল কিনতে এসে হিসাব মিলাতে পারছি না। আগে যে দামে চাল কিনেছিলাম আজ দেখি সেই চাল প্রতি কেজিতেই ৩/৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রিক্সা চালক সাদেক মিয়া বলেন, করোনার মধ্যে এমনিতেই কাজ কর্মই কম। তারপর দফায় দফায় বন্যা। বাড়িতে ৬ জন সদস্য, প্রতিদিন আড়াই কেজি চাল লাগে। এভাবে যদি চালের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে কষ্টে দিনাতিপাত করতে হবে।

শিয়ালকোল ইউনিয়নের চাতাল মালিক শামিম মন্ডল বলেন, করোনা ও দফায় দফায় বন্যার কারনে ধানের আমদানি অনেকটাই কমে যাওয়ায় ধান বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই ধানের দাম বেশি হলে চালের দামও বেড়ে যায়। এখানে মিল মালিকদের কিছুই করার নেই।

বানিয়াপট্টি চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জুরান আলী শেখ বলেন, সিরাজগঞ্জে কয়েক দফা বন্যা ও করোনার কারনে মিল মালিক ও হাটের পাইকারদের কাজ থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। আমরা সামান্য লাভ রেখেই বিক্রি করছি। চালের দাম বাড়ার কারণে আমাদের ক্রেতাও কমেছে। বিপাকে আমরাও রয়েছি। বেচাকেনা অনেকটাই কমে গেছে বলে তিনি জানান।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর