ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে সৈয়দ শামসুল হকের ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী

সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম শহর কুড়িগ্রামে ঢিলে-ঢালাভাবে পালিত হয়েছে তার ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী। আজ (রবিবার) সকালে বৃষ্টির কারণে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে বিলম্ব হলেও, দুপুর ১২টার দিকে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ চত্বরে তার সমাধীতে জেলা প্রশাসন, আইন মহাবিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ যাদুঘর, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,গ্রীন ভয়েস সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন কবির সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

শ্রদ্ধা জানানো শেষে কবির সমাধি চত্বরে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বৃষ্টির কারণে সমাধি চত্বরে নেই কোন বিশেষ চালা বা প্যান্ডেলের ব্যবস্থা। মৃত্যুর পর পর বছর গুলোতে শোক র্যালী হলেও এবছর সেটি ছিলো না।

ছিলো না বিগত বছরগুলোর মতো প্রশাসনের তরফ থেকে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে কোন আয়োজন। ছিলো না কবির সমাধি স্থলে বাড়তি কোন আয়োজন। কবির সমাধিকে ঘিরে অনেকে অপরিকল্পিত ভাবে করছে বৃক্ষরোপন, যাতে বিনষ্ট হচ্ছে কবির সমাধির সৌন্দর্য। মৃত্যু দিবসেও বাড়তি কোন আয়োজন ছিলো না, কবির সমাধির চালা গুলো ফুটো হয়ে গেছে,বাশের বেড়া হয়েছে নড়বড়ে ।

এদিকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে সমাধি চত্বর এলাকায় হয় সংক্ষিপ্ত স্মরণ সভা। যেখানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপ্যাধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতিরি সভাপতি অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রামহাম লিংকন, কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ। কথা ছিলো কবির সমাধী জায়গাকে ঘিরে তৈরী হবে কমপ্লেক্স, যেখানে কবির সব স্মৃতি থাকবে সংরক্ষিত।

কিন্তু৪ বছরেও. জমি অধিগ্রহন না হওয়া সহ নানা কারনে কমপ্লেক্স নির্মানের কাজের কোন কার্যকরী উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। শুধু বিগত ৪ বছর ধরে কবির জন্ম ও মৃত্যু দিন এলেই কমপ্লেক্সের বিষয়ে শ্রদ্ধা জানানো ব্যক্তিরা দুঃখ প্রকাশ করেন। কবির জন্মস্থানের থানাপাড়ার বাসিন্দা দিগন্ত বোস বলেন,”৪ বছরেরও আমাদের দেশ বরেন্য কবির সমাধীকে ঘিরে কমপ্লেক্স নির্মান না হওয়াটা সত্যি দুঃখজনক। ”

সৈয়দ শামসুল হকের সমাধি কমপ্লেক্স নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করছেন কুড়িগ্রাম জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন । বার্তা বাজার কে তিনি মুঠোফোনে জানান,”দীর্ঘ ৩ বছর ধরে মন্ত্রনালয় বিষয়টি দেখছে, আমরা আশা করি দ্রুত ভালো সংবাদ শুনতে পারবো এবং সংস্কৃত মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসনের দ্রুত তৎপরতায় কমপ্লেক্স নির্মান খুব দ্রুত হবে বলে তিনি আশা করেন।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম বার্তা বাজার’কে বলেন,” পূর্বে একটি নকশা দেয়া হয় সংস্কৃত মন্ত্রনালয়ে,যেটা কবির ছেলে দিয়েছিলেন, আমরা চাইছি কুড়িগ্রাম প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নকশা পাঠানোর।

সংশ্লিস্ট সংস্কৃতি কর্মী ও কুড়িগ্রামের সুধীজনদের মতামত নিয়ে আমরা একটি নকশা পাঠাবো এবং আমরা আশাকরি কমপ্লেক্সটির বিষয়ে দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত কুড়িগ্রামবাসীকে জানাতে পারবো ।”

উল্লেখ্য দেশ বরেণ্য এই লেখক ২০১৬ সালের এই দিনে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছায় তাকে তার নিজ ভূমি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ চত্বরে সমাহিত করা হয়।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর