ধর্ষণের মত অপরাধকর্মে দলীয় শক্তি একটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করে

স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন এক তরুণী। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা।

এখানে অবশ্যই আমাদের বলতে হবে অপরাধীর পরিচয়ের কথা। কারণ অপরাধী দলের হতে পারেনা এই বক্তব্য আমি আপনি তখনি দিতে পারি যখন অপরাধী তার পাওয়ারকে ইউটিলাইজ করার কথা ভাবেনা! কিন্তু এখানে ক্ষমতা তাদেরকে আলাদা এক প্লাটফর্মে দাড় করিয়েছে যেখানে দাঁড়িয়ে তারা চিন্তা করেছে তাদের কিছুই হবেনা! শুধু তাই না এক রিপোর্টে দেখলাম তাদের বাঁচাতে নাকি সেখানকার আওয়ামী লীগ বেশ তৎপরও ছিলো!

নিউজের সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হুবুহু তুলে ধরছি যেনো আপনারা বুঝতে সমর্থ্য হন দল কিভাবে তাদের ব্যাকাপ দিতে চেয়েছে, ‘সন্ধ্যার পর এই খবর পেয়ে টিলাগড় এলাকার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা ও কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। প্রথমে তারা বিষয়টি ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর তারা বিষয়টি আপোষে শেষ করার চেষ্টা চালান। এসময় ধর্ষণের শিকার নারী ও তার স্বামীকে আপোষে মীমাংসার জন্য চাপ দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। তবে ধর্ষণ ঘটনার খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ায় ধামাপাচা দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। এসময় আওয়ামী লীগ নেতারাও ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন। তবে আপোষের চেষ্টায় অনেকক্ষণ সময় ক্ষেপনের সুযোগে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা।’

তার মানে ঘটনা মিডিয়াতে এসে যাওয়ায় তারা এখন হয়তো চুপ কিন্তু কয়েকদিন গেলেই আবার বাঁচাতে তৎপর হবেনা সেই চিন্তা কিন্তু আমরা করতে পারছিনা। তাই এখানে দলের কথাটা বলতেই হবে কারণ এই ধরণের অপরাধকর্মে দলীয় শক্তি একটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। এই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি।

সূত্র-ফেসবুক।

লেখক- তরুণ সংগঠক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।

বার্তাবাজার/জুলভার্ন

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর