কিশোরকে কোদাল দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতন

কক্সবাজারের উখিয়ায় এক কিশোরকে গরু চুরির অভিযোগে হাত-পা বেঁধে মারধরের পর কোদাল দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। গতকাল (শুক্রবার) রাতে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এই নির্যাতনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে একই গ্রামের নির্যাতনকারী সামশুল আলমের ছেলে জালাল আহমদের নামে।

ভুক্তভোগী কিশোরের নামে ছৈয়দ আহমদ (১৫)। সে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনারপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।

ভুক্তভোগী সৈয়দ আহমদের বোন জোবাইদা বেগম বলেন, স্থানীয় সামশুল আলমের ছেলে জালাল আহমদ বিনা অপরাধে আমার ভাই সৈয়দ আহমদকে সোনারপাড়া বাজার থেকে ধরে নিয়ে গরু চোরের অভিযোগ এনে ব্যাপক নির্যাতন করে। সারা রাত বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। কোদাল দিয়ে মাথা ন্যাড়া করার নামে মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনায় আমার ভাই জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সকালে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ রফিক ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।’

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ রফিক বলেন, নির্যাতনের শিকার ছৈয়দ আহমদ একজন ক্ষুদ্র দোকানদার। তাকে স্থানীয় জালাল আহমদ গরু চুরির অভিযোগে বাজার থেকে ধরে নিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে আমি নিজেই গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে পুলিশকে তাৎক্ষণিক মৌখিক অবহিত করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে অভিযুক্ত জালাল উদ্দিন বলেন, ‘এলাকায় যাতে আর কোনো সময় গরু চুরির মতো ঘটনা না ঘটে, পুরো এলাকাবাসীকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। তাতে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নাই।’

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ‘আমি সবেমাত্র থানায় যোগদান করেছি। অভিযোগটি আমার কাছে এখনো আসেনি। এ রকম অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর