সিরাজগঞ্জে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল আট স্কুলছাত্রী

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় এক দিনে আট স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করেছেন বেলকুচি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।

শুক্রবার দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করা হয়। প্রথমে বিকাল ৪ টায় পৌরসভার চরচালা এলাকার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪), বিকাল ৫ টায় বেলকুচি পৌরসভার গাড়ামাসী এলাকার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী(১২), সন্ধ্যা ৬ টায় বেলকুচি পৌরসভার সূবর্ণসাড়া এলাকায় দশম শ্রেনীর ছাত্রী (১৫), রাত ৮ টায় দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর পেস্তকপাড়া গ্রামের সালাম মার্কেট এলাকায় দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪), রাত ৯.০০ টায় বেলকুচি পৌরসভার চন্দনগাতী দক্ষিণপাড়া এলাকায় ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী (১৩), রাত ৯.৩০ টায় বেলকুচি পৌরসভার চন্দনগাতী দক্ষিণপাড়া এলাকায় একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী (১৭), রাত ১০ টায় ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী(১২) এবং দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর পেস্তকপাড়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৫) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে হতে গভীর রাত পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। আটটি বাল্যবিবাহের ৬ টিতে কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও দুইটিতে বর ও কনে উভয়ই অপ্রাপ্তবয়স্ক। বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করে সর্বমোট ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

প্রত্যেক প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বর ও কনের বাবার কাছ থেকে বর ও কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়। বাল্যবিবাহগুলো বন্ধে সহযোগিতা করেন বেলকুচি থানার উপ-পরিদর্শক রবিউল, সহকারী উপ-পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম, মোস্তাফিজ, পেশকার মো. হাফিজ উদ্দিন, বেলকুচি থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, বেলকুচি উপজেলার বর্তমান ইউএনও মো. আনিসুর রহমান সিরাজগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে ও ইউএনও বেলকুচি হিসেবে কর্মকালীন সময়ে ইতোপূর্বে আরও তিনবার একদিনে ৭ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

বার্তা বাজার/ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর