প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত শুরু

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞগাঁতী এস কে মডেল কারিগরি হাই স্কুল এন্ড বিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের জাল-জালিয়াতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক বরাবর রেহেন্নুমা তারান্নুম নামক এক ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে তদন্ত কাজ শুরু করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম মাহাবুবুর রহমান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. নূরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কমিটির আহ্বায়ক হলো- কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম মাহাবুবুর রহমান এবং সদস্য যুগ্মসচিব (কারিগরি-৩) মো. আয়াতুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক (এমপিও) জহুরুল ইসলাম। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

ওই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘রায়গঞ্জে কলেজ খুলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে অভিযোগটি আমলে নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে দৈবজ্ঞগাঁতী এস কে মডেল হাইস্কুল এন্ড কারিগরি বিএম কলেজ থেকে শুরু হওয়া তদন্ত কার্যক্রমে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মো. শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযোগের বিপরীতে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সরবরাহের নির্দেশনা দেন। পরে রাস্তায় দাড়িয়ে ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ শুরু করলে প্রত্যেক ভুক্তভোগীর কাজ থেকে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত কমিটি। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে স্থানীয় মো. বাবুল আক্তারকে দেয়া ভুয়া নিয়োগপত্র ও শাহীন আলম নামক এক ব্যক্তিকে স্কুল শাখায় দপ্তরি পদে নিয়োগ প্রদানের শর্তে ৬০ হাজার টাকা গ্রহণের স্ট্যাম্পে লিখিত অভিযুক্ত শহিদুল স্বাক্ষরিত চুক্তিনামা তদন্ত কমিটির নিকট দেন ভুক্তভোগী। এছাড়া কয়েকজন ভুক্তভোগী মৌখিকভাবে প্রতিষ্ঠাতা মো. শহিদুল ইসলামকে মোটা অংকের টাকা প্রদানের কথা স্বীকার করেন৷

তদন্ত কর্মকর্তা কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম মাহাবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তের গোপনীয়তার স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে সব কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর তদন্ত শেষে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. শহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ ভুয়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তবে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত শহিদুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

বার্তা বাজার/ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর