স্ত্রী হত্যার ২ বছর পর ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শান্তনা আক্তারকে (২৫) হত্যা করে ফেরার হয়ে যান রনজু মিয়া (২৯)। মুঠোফোন ব্যবহারও বন্ধ করে দেন। আজ এখানে তো কাল ওখানে কাজ নেন। তবে শেষ রক্ষা তার হয়নি রনজুর। প্রায় দুই বছর পর গোয়েন্দারা তাকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেন।

প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে ঝগড়া করায় তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন রনজু মিয়া।

বগুড়ার শেরপুর থানার পাথালিয়ায় রনজু মিয়ার বাড়ি। পারিবারিকভাবে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শান্তনা আক্তারকে (২৫) বিয়ে করেছিলেন । বিয়ের পর রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি ওয়াশিং ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। মোল্লারটেকে একটি ভাড়া কক্ষে থাকতেন স্ত্রীকে নিয়ে। ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে শান্তনা আক্তারকে হত্যা করে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে পালিয়ে যান রনজু।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) গোয়েন্দারা গত ১৬ সেপ্টেম্বর রনজুকে গ্রেপ্তার করেন। পরদিন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, ঘটনার দিন রাত ১১ টায় তিনি বাসায় ফেরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যখন ঘুমাতে যান তখন প্রথম স্ত্রী নিয়ে শান্তনা ঝগড়া বাধান। একপর্যায়ে দুজন দুজনের গলা চেপে ধরেন। তিনি তখন শান্তনাকে নিচে নামিয়ে গলা চেপে ধরেন। এক সময় দেখেন শান্তনা আর নিশ্বাস নিচ্ছেন না।

রনজু মিয়া বলেছেন, নিজেকে বাঁচানোর জন্য শান্তনার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে একটি শক্ত গিঁট দিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।

সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, মুঠোফোন ব্যবহার না করায় রনজুকে শনাক্ত করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। গ্রেপ্তার হওয়ার কিছুদিন আগে রনজু একটি মুঠোফোন কেনেন। একদিন তিনি তার বাবাকে ফোন দিয়ে ৩০ সেকেন্ড কথা বলেন। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত শান্তার বাবা শামসুল হক বলেন, রনজুর প্রথম বিয়ের খবর তারা জানতেন না। দেড় লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে পারিবারিকভাবেই বিয়ে দিয়েছিলেন মেয়েকে।

বার্তাবাজার/কে.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর