বন্ধের পথে ইবির সব কার্যক্রম!

উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে জটিলতা। আগামী মাস থেকে বন্ধ হতে পারে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা। আটকে আছে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। হচ্ছে না শিক্ষকদের প্রমোশন কিংবা উচ্চশিক্ষায় বিদেশ যাত্রা। ছুটি নিয়ে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। বন্ধ রয়েছে কয়েকটি বিভাগের চেয়ারম্যান নিয়োগ। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে গাছাড়া ভাব। মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা, বিল না পাওয়ায় চলমান কাজে অচলাবস্থা। সিন্ডিকেটের বৈঠক হচ্ছে না ৬ মাস। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধের পথে। সমস্যা সমাধানে পদ দুটিতে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহার মেয়াদ পূর্ণ হয়। ২২ আগস্ট থেকে শীর্ষ পদ দুটি শূন্য থাকায় ১ মাসের বেশি সময় ধরে অনেকটা অভিভাবক ছাড়াই চলছে এ বিদ্যাপীঠ। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানকে রুটিন দায়িত্ব না দেয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনিও কোনো সিন্ধান্ত নিতে পারছেন না।

এদিকে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ তাদের মেয়াদ পূর্ণের শেষ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তাদের বেতনের অনুমোদন দিয়ে গেলেও সামনের মাসগুলোতে কি হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এমনকি চলতি মাসেই ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, আনসার সদস্য এবং থোকের কর্মচারীদের বেতন হয়নি জানিয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ বলেন, ৫ টাকারও অনুমোদন হচ্ছে না। সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম প্রায় বন্ধের পথে। এমাসে উপাচার্য নিয়োগ না হলে সামনের মাস থেকে শিক্ষক কর্মকর্তাদের বেতনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় ব্যয় বন্ধ হয়ে যাবে।

মেগা প্রকল্পে স্থবিরতা প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, আমাদের সকল কাজ ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ছে। বিল না পাওয়ার ঠিকাদাররা নিজেদেরকে গুটিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসন না থাকায় নতুন ওয়ার্ক অর্ডার দিতে পারছি না। এক কথায় আমাদের সকল কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

উপাচার্য না থাকায় সৃষ্ট নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন বলেন, শূন্য পদ পূরণ হলে অচিরেই এ সংকট কেটে যাবে। পাশাপাশি নিজস্বতা ধরে রাখতে পদ দুটিতে অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগ্য, মেধাসম্পন্ন ও দক্ষ কাউকে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান তিনি।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর