নাটোরে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলার রায়ে বিস্ময় প্রকাশ, উচ্চ আদালতে আপিল

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আইনুল হক হত্যা মামলার রায় নিয়ে হতাশা ও বিস্ময় প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবারের সদস্যসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বনপাড়াস্থ আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

হত্যাকান্ডের ১৮ বছর পর গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযোদ্ধা ডা. আইনুল হক হত্যা মামলার রায়ে দুইজনের ফাঁসি এবং ১১ জন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আলোচিত এই হত্যাকান্ডে অংশ নেয় বিএনপির সশস্ত্র ১৭ জন নেতাকর্মী। এই রায়ে দোষীরা সাজা না পেয়ে বেকসুর খালাস হওয়ায় হতাশা, অসন্তোষ ও বিস্ময় প্রকাশ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

ডা. আইনুল হকের বড় ছেলে বনপাড়া পৌর মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি কে.এম জাকির হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০০২ সালের ২৮ মার্চ বনপাড়া সাহেব পাড়ার ডা. আনসারুল হকের চেম্বার থেকে পুত্রবধূ নাজমা বেগমকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে ওঠার সময় থানা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ একরামুল আলমসহ স্থানীয় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী মুক্তিযোদ্ধা ডা. আইনুল হকের উপরে চড়াও হয়, এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপালে তিনি রক্তাক্ত জখম হয় এবং পরের দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। একই দিনে ডা. আয়নুল হকের অনুসারী বনপাড়া, নটাবাড়িয়া, কালিকাপুর, মহিষভাঙ্গা এলাকার আ’লীগের নেতাকর্মীদের শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় সন্ত্রাসীরা।

এই ঘটনায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা ২০০২ সালের ১৫ অক্টোবর ঘটনাস্থলে আসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা ডা. আইনুল হকের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তিনি এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র কে.এম জাকির হোসেন আরও জানান, গত বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই হত্যাকান্ডের যথার্থ বিচার প্রার্থনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডা. আইনুল হকের স্ত্রী জাহানারা বেগম, মামলার বাদী ও বড় পুত্রবধূ নাজমা বেগম, ছেলে কে.এম জামিল হোসেন, কে.এম জিল্লুর হোসেন জিন্না, মেয়ে আসমা হক শাপলা, অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র আব্দুল বারেক সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, জেলা পরিষদের সদস্য মৌটুসী আক্তার মুক্তা, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল হক ও উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলররা।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর