পাপিয়া দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে আশা করছি।
পাপিয়ার স্বামী মফিজুরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী। তিনি পাপিয়ার স্বামীর খালাস প্রত্যাশা করেন। পাপিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন তার আইনজীবী। তবে আদালত মফিজুরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ১২ জনকে। এ মামলায় ১২ জনই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশত্যাগের সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন-পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। তাদের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলার, সাতটি পাসপোর্টসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
বার্তাবাজার/কে.কে