ম্যাজিস্ট্রেটের নামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা স্ত্রীর যৌতুকের দাবীতে মারধরের মামলা

নীলফামারীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানার নামে যৌতুকের দাবীতে মারধরের মামলা দায়ের করেছেন তারই স্ত্রী যশোর বিজ্ঞাওন ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) টিএম মুসা অভিযোগটি গ্রহণ করে ২৯ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেন। দায়েরক্রিত মামলায় আসামী করা হয়েছে মাসুদ রানাসহ তিনজনকে। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ফারজানা।

মামলায় অভিযুক্ত মাসুদ রানা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আফতাবনগর গ্রামের মো. আবদুল আলিমের ছেলে। এছাড়া মামলায় অপর আসামীরা হলেন মাসুদ রানার বোন মোছা. রানী খাতুন ও তার স্বামী জিয়াউর রহমান।

দায়েরকৃত মামলা সূত্র জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকার দেনমোহরে মাসুদ রানার সঙ্গে বিয়ে হয় ফারজানার। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে জামাইকে ৫ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল ও ২ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার প্রদান করেন ফারজানার বাবা। কিন্তু তার ননদ রানী খাতুন ও তার স্বামী জিয়াউর রহমানের পরামর্শে ঢাকার পূর্বাঞ্চলে প্লট ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন সময় ফারজানার কাছে যৌতুক হিসেবে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন মাসুদ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা উপায়ে ৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে স্বামীকে দেন তিনি। কিন্তু বাকি ৫ লাখ টাকার দাবিতে তাকে নির্যাতন করতে থাকেন মাসুদ। এ ঘটনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন ফারজানা।

এরপর আপস-মীমাংসার জন্য বোন ও ভগ্নিপতিকে সঙ্গে নিয়ে গত শুক্রবার যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকায় ফারজানার বাবার বাড়িতে আসেন মাসুদ। সেখানে এসেও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফারজানাকে মারধর করে জখম করেন মাসুদ।

এ সময় স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় গত রবিবার থানায় অভিযোগ করতে গেলে ফারজানাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ।
বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর