নান্দাইল-ঈশ্বরগঞ্জে ঘরে ঘরে সর্দি জ্বর, বেড়েছে আতঙ্ক

স্ত্রী, দুই সন্তান সহ গত কয়েকদিন ধরে সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন নান্দাইল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক বাহার। এ নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দোয়া চেয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

শরীরে ব্যথা, গায়ে জ্বর নিয়ে বাসায় অবস্থান করছেন ঈশ^রগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা তারেক সালাউদ্দিন। বাহার ও তারেকের মত নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জে অনেক ব্যক্তিই এখন সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা মহামারীর এই সময়ে হঠাৎ এমন সর্দি জ্বরে উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে বেড়েছে সদির্-জ্বর ও শ্বাসতন্ত্রের রোগী। শিশু, নারী থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষই এখন সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে এ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন ঋতু পরিবর্তনের সময়ও এ ধরনের রোগব্যাধীর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাধারণ চিকিৎসাই সেরে উঠা সম্ভব।

নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আউটডেরে প্রতিদিন যে রোগী আসে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সর্দি, জ্বর ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে আসছেন। অনেকেই সরকারী হাসপাতালে আসতে ভয় পাচ্ছেন। তারা বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঈশ^রগঞ্জ পৌর শহরের দত্তপাড়া মহল্লার বাসিন্দা জান্নাতুল জবা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে বাসায় অবস্থান করছি। এখন জ্বর কিছুটা বেড়েছে। অনেকেই বলছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে সাধারণ জ্বর-সর্দি হয়েছে।

পালাহার গ্রামের গৃহবধু রিতু আক্তার বলেন, তিনিও জ¦র-কাশিতে ভুগছেন। করোনার এই মহামারিতে কিছুটা ভয় কাজ করলেও তিনি আতঙ্কিত নন। বাড়িতে থেকে নাফা জাতিয় ওষুধ খাচ্ছেন।

মুশুলী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আল মাহমুদ রবিন বলেন, এখন সর্দি জ্বরে রোগী বেশি আসছে। এই রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা এখান থেকেই পাওয়া যায়। জ্বর বেশি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মাহমুদুর রশিদ বলেন, ‘ভ্যাপসা গরম, রোদ বৃষ্টির কারণে কিছুদিন ধরে সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাশি ও শ্বাসতন্ত্রের রোগী বেড়েছে। এর সাথে করোনার কোন সর্ম্পক নেই। অনেক দিন ধরে সর্দি-জ্বর দেখা দিলেও এ উপজেলা কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সাবধান থাকতে হবে।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর