মাথার চুল কেটে কলেজছাত্রীকে নির্যাতন

তিন বন্ধু জোর করে ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। এরপর কলেজছাত্রীর মাথার চুল কাটেন রায়হান ও তার স্ত্রী রূপা। শুধু তাই নয় এসময় তাকে নির্যাতনও করা হয়। এসময় প্রায় দেড় ফুট লম্বা মাথার চুল কেটে ফেলা হয় কলেজছাত্রীর। তারপর তার অশ্লীল ছবি তুলে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয় তারা এবং পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেয় তার। এই ঘটনার পর কলেজছাত্রী বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তোভুগী কলেজছাত্রী বলেন, রায়হান গত এক মাস থেকে বিভিন্নভাবে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। কিন্তু আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রোববার বিকেলে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে এক শিক্ষককে প্রাইভেটের টাকা দিতে গেলে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছ থেকে রায়হান ও তার তিন বন্ধু আমাকে রায়হানের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তারা আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং আমার মাথার চুল কেটে নেয়। আমাকে তারা দুই ঘণ্টা আটকে রাখে। বাড়ি যাওয়ার পর রাতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রায়হান বলেন, কিছুদিন আগে ওই কলেজছাত্রী আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে এক ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেন। তারপর আমার স্ত্রী বিষয়টি আমাকে জানায়। তারপর খেকে আমি মেয়েটিকে খুঁজছিলাম। রোববার বিকেলে বালাহৈর মসজিদের কাছে দেখার পর তাকে আমার স্ত্রীর কাছে নিয়ে যাই। তাকে চিনতে পারায় ওই ছেলেটির সম্পর্কে জানতে চাই। কিন্তু সে ছেলেটির পরিচয় না দেয়ায় আমরা তার অভিভাবককে আসতে বলি। অভিভাবক না ডাকায় আমার স্ত্রী তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে মাথার চুল কেটে দেয়।

নিয়ামতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে রায়হানসহ অজ্ঞাত দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর