শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে গৃহবধূকে ধর্ষণ, ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

বগুড়ার শেরপুরের ঘোড়দৌড় গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করে অন্যের স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করার ঘটনায় গত ১২ দিন আগে শেরপুর থানায় লম্পট যুবক রায়হানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের দুবলাগাড়ী গ্রামের এনতাজ আলীর তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে এনেজা খাতুনের বিয়ে হয় একই উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোড়দৌড় গ্রামের ষাট বছর বয়সী পুটু মিয়ার সাথে। কিন্তু অভাবের তাড়নায় পুটু মিয়ার পুর্বের স্ত্রীর ঘরে ৪জন সন্তান থাকায় সে সন্তান ধারণের ক্ষমতা বিচ্ছেদ করেন(ভ্যাসেকটমি)। সেই সুযোগে একই এলাকার আব্দুল কাফির ছেলে লম্পট যুবক রায়হান তার স্ত্রী ববিতাকে তালাক দিয়ে ওই এনেজা খাতুনের সাথে প্রায় দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

একপর্যায়ে তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করে। এতে এনেজা খাতুন প্রায় ৭/৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হন। এদিকে এনেজা খাতুন ওই লম্পট যুবক রায়হানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করবেনা মর্মে জানিয়ে দিয়ে গর্ভজাত সন্তানকে নষ্ট করার জন্য নানা হুমকী-ধামকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এবং গ্রাম্য মাতব্বরদের কাছে বিচার চেয়ে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধু এনেজা খাতুন বাদি হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রায় ১২দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকে অদ্যবধি লম্পট যুবক রায়হান পলাতক রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অন্যদিকে ওই গৃহবধু’র স্ত্রী স্বীকৃতির দাবী ও গর্ভজাত সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতির দাবিতে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ওই গৃহবধু এনেজা খাতুন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গৃহবধু এনেজা খাতুন বলেন, ওই লম্পট যুবক রায়হান আমাকে বিয়ের করার কথা বলে সে আমাকে এক বছর ধরে দৈহিক সম্পর্ক করেছে। তাছাড়া আমার স্বামী যেহেতু সন্তান ধারন ক্ষমতায় অক্ষম। সেহেতু আমি নিজেও সন্তানের আশায় পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। এখন সে বিয়ে করবেনা এবং ৭/৮ মাসের গর্ভজাত সন্তান নষ্ট করতে চাপ দিচ্ছে। এমনকি নষ্ট না করলে আমাকেও মেরে ফেলবে বলে নানা হুমকী-ধামকি দিয়ে আসছে।

এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (চলতি দায়িত্বরত) পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়নি মর্মে অস্বীকার করে বলেন, উপরোন্ত বাদির অভিযোগটি আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর