পায়রা বন্দরে ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের বসতঘর তালিকাভুক্তের দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলায় পায়রা বন্দরের ভূমি অধিগ্রহনে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বসতঘর তালিকাভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলাধীন লালুয়া ইউনিয়নের চর চান্দুপাড়ার বুড়োজালিয়া জেলে পল্লী এলাকায় ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ভূক্তভোগী জনগন এ মানববন্ধন করেন। ২৭ টি পরিবারের বসতঘরে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এইচ.বি নাম্বার থাকা সত্ত্বেও পটুয়াখালী এল.ও অফিসের কতিপয় অসাধূ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধ সুযোগসুবিধা দিতে না পারায় তাদের বসতঘর তালিকার আওতায় নেয়া হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধনে দাবি করেন।

কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের একাধিক ঘড়বাড়ি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেয়। ২০১৪ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ঘর যাচাই-বাচাই সাপেক্ষে তালিকাভুক্তি করণের জন্য এইচ.বি নাম্বার দেয়। এইচ.বি নাম্বার অনুযায়ী অন্যান্য ঘর তালিকাভুক্ত করা হলেও স্থানীয় ২৭ টি পরিবারের ঘর তালিকার আওতায় নেয়া হয়নি।

ওই ২৭ টি ঘরের প্রতিটিতে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এইচ.বি নাম্বার থাকা সত্ত্বেও অবৈধ অর্থ দিতে না পারায় তাদের ঘরগুলো তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করা হয়নি বলে ভূক্তভোগীরা মানববন্ধনে অভিযোগ তুলেন। তাদের মতে, প্রতিটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হিসাবে তালিকাভুক্তি করার জন্য পটুয়াখালী এল.ও অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধ অর্থ দিয়ে ঘর তালিকাভুক্ত করতে হয় বলে বক্তারা জানান।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য মো. মহসীন দালাল ও সোহেল প্যাদা জানান, আমাদের প্রতিটি ঘরে এইচ.বি নাম্বার রয়েছে। ২০১৪ সালে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার হিসাবে তালিকাভুক্ত করে এইচ.বি নাম্বার দেয়। কিন্তু আমরা এল.ও অফিসের কর্মকর্তাদের অর্থ দিয়ে খুশি করতে না পারায় আমাদের ঘরগুলো তালিকার বাহিরে রেখে দেয়। আমরা এর সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আমাদের ঘরগুলো তালিকাভুক্তির আওতায় নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামান করছি।

ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারন সম্পাদক শাহীন তালুকদার ও উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাফর আলী হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, পটুয়াখালী এল.ও অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে নতুন ঘর তালিকাভুক্ত হলেও ৩০ বছর পূর্বের ঘর তালিকাভুক্তি হয়নি। এমনকি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ঘরের এইচ.বি নাম্বার থাকা সত্ত্বেও ২৭ টি পরিবার তালিকার বাহিরে রয়ে যায়।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর