রণবীরবালা-ফুলবাড়ি আঞ্চলিক সড়ক এখন মরণ ফাঁদ

বগুড়ার শেরপুরের রণবীরবালা-ফুলবাড়ি আঞ্চলিক সড়কটি এখন চলাচলের জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

সরেজমিনে গেলে ওই এলাকার ভূক্তভোগীরা জানান, উপজেলার গাড়িদহ মডেল ইউনিয়নের দক্ষিন প্রান্তে রণবীরবালা-ফুলবাড়ি আ লিক সড়কটি জনবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার সকল ধরনের যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। সড়কটির খন্ড খন্ডে ভেঙ্গে পড়ায় যে কোনসময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।

ছোট ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনে স্বনির্ভরতা লক্ষ্য অর্জনের প্লান্ট গুলো প্রায় একযুগ আগে সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে দেখতে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদুত হুয়া-দু। ওই সময় শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোটফুলবাড়ি গ্রামের মাটির রাস্তায় আসেন তারা।

এরপর গ্রামবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসনকে ওই সড়কটি পাঁকা করনের জন্য অনুরোধ করেন যান। তৎকালীন বগুড়া প্রশাসকের নির্দেশে সড়কটির মাত্র আধা কিলোমিটার পাঁকা করন করা হয়। এরপর আবারও সরকারের উচচ পর্যায়ের নির্দেশে আরোও দেড় কিলোমিটার সহ মোট দুই কিলোমিটার সড়কটির কাজ করা হয়।

বর্তমানে রণবীরবালা গ্রামে সড়কের প্রবেশ পথে ভেঙ্গে পরে একটি বৃহৎ গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। সড়কটি ভেঙে প্রায় ৬/৭ফুট খাদের সৃষ্টি হওয়ায় গত এক সপ্তাহ যাবত কৃষি নির্ভরশীল ওই এলাকায় ছোট বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এরপর স্থানীয় লোকজন কয়েকটি বালুর বস্তা দিয়ে পথচারী ও রিক্সা যাতায়াতের ব্যবস্থা করলেও অসুস্থ রোগী সহ সকলকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়াও রাস্তাটির মাঝে ছোট ফুলবাড়ি ইয়াকুব মোড়, মসজিদের উত্তর মোড়, করতোয়া নদীর পূর্বধারে শশ্মান মোড়, ফুলবাড়ি দহপাড়া মোড় সহ প্রায় ১৫টি স্থানে রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার বিরাজ করছে। ফলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে গাড়িদহ মডেল ইউপি চেয়ারম্যান মো.দবির উদ্দিন ওই সড়কটি সরেজমিনে গিয়ে বলেন, গত ১০ সেপ্টেন্বর শেরপুর উপজেলা পরিষদ সমন্বয় কমিটির সভায় ওই সড়কটির সার্বিক বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার করতে মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। তাই প্রাথমিক ভাবে রাবিস দিয়ে অস্থায়ী মেরামত করা হবে।

কেএস/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর