ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের পিটুনীতে যুবকের মৃত্যু

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীদের পিটুনীতে ইউনুস মিয়া নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ (শুক্রবার) সকালে উপজেলার হোসানাবাদ ইউনিয়নের খিলমোগল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মির্জা সেকান্দর হোসেন ওই ইউনিয়নেরই চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলার শিকার নিহত ইউনুস মিয়ার ভাতিজা ইমরান হোসেন বলেন, শুক্রবার সকালে আমার চাচা ইউনুস মিয়ার জায়গা দখলের জন্য প্রতিবেশী মহররম মিয়া, হাবিবুর রহমান ও তার ছেলে এহসানুল হক এবং আজিজুর রহমান ও তার ছেলে মো. মামুন, মনির আহামেদ ও তার ছেলে সাইমুন যান। দখল করতে গাছ কাটতে গেলে ইউনুস মিয়া বাধা দেন।

একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে তারা আমার চাচা ইউনুস মিয়া, তার ছেলে এবং আমাকে কাঠের বাটাম ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে চলে যায়।

কিছুক্ষণ পর হোসনাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকান্দরসহ তারা আবার ফিরে আসেন। চেয়ারম্যান হাতে বন্দুক নিয়ে এসেছিলেন। চেয়ারম্যান নিজে আমার চাচা ইউনুস মিয়াকে মারতে শুরু করেন এবং অন্যদেরকেও মারার নির্দেশ দেন। দ্বিতীয় দফা হামলার এক পর্যায়ে আমার চাচা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান।

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে সকালে ইউনুস মিয়ার সাথে তার প্রতিবেশীদের বাক-বিতন্ডা হয়। সেই সময় তার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। মারধরের ঘটনায় ইউনুস মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে এখন পর্যন্ত মামলা করতে থানায় কেউ আসেননি।

তিনি আরও বলেন, ইউনুস মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এহসানুল হক, মো. মালেক, মমতাজ বেগম ও সায়রা খাতুন নামের চারজনকে পুলিশ আটক করেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তবে অভিযুক্ত হোসনাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেনের নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও প্রতিবারই তিনি কল কেটে দেন।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর