লঞ্চে উদ্ধার দুই শিশুর মা ওই নারীই

পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী লঞ্চে উদ্ধার হওয়া শিশুর দুটির মা ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী হ্যাপী আক্তারই। আজ (শুক্রবার) সকালে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গলাচিপার চিকনিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ।

জানা যায়, ওই নারীর বাড়ি গলাচিপা উপজেলার পাড় ডাকুয়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে লঞ্চ থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রী ওই শিশু দুটি ও নারীর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করলে এলাকাবাসীর নজরে আসে।

হ্যাপি আক্তারের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন আগে পাড় ডাকুয়া গ্রামের ইমাম খানের সাথে একই এলাকার হ্যাপি আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। গত কয়েক বছর ধরে হ্যাপি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরে। বাচ্চা দুটি দাদীর কাছে থাকলেও মা হ্যাপি বাবার বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। বৃহস্পতিবার সন্তানদের নিয়ে প্রিন্সি অব আওলাদ-৭ লঞ্চে ঢাকায় আত্মীয়দের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় লঞ্চের যাত্রীরা বাচ্চাদের সাথে কথা বলা ও আচরণ দেখে তাদের সন্দেহ হয়।

এক পর্যায় মানসিক ভারসাম্যহীন হ্যাপিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি দেখে বিষয়টি হ্যাপি ও ইমামের পরিবারের লোকজন লঞ্চের সুপারভাইজারের সাথে যোগাযোগ করেন। শুক্রবার সকালে প্রিন্সি অব আওলাদ-৭ লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট পৌঁছালে চিকনিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনসহ পরিবারের লোকজন গিয়ে তাদের জিম্মায় হ্যাপি আক্তার ও তার দুই সন্তানকে উদ্ধার করে।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাটি নজরে এসেছে। এর পরেই খবর নিলে তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছে শিশু দুটি তারই। হ্যাপি আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন। ওই নারী ও শিশু দুটি এখন নিরাপদ আছেন।

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর