শেরপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী দই বিক্রি হচ্ছে ঢাকায়

রাশেদুল হক, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরের সাতাড়া গ্রামে প্রশাসনের চোখের সামনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করা হচ্ছে নিম্ন মানের দই। আর এই দই শেরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয় বগুড়ার বিখ্যাত দই হিসেবে। যেহেতু বগুড়ার দইয়ের নাম শুনলে সবাই উৎসাহভরে দই ক্রয় করে তাই এর দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে এই অসাধূ ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নীরব ভুমিকা থাকায় দৌরাত্ব বাড়ছে এসব ব্যবসায়ীদের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সাতারা গ্রামের টোলাপাড়া এলাকার মোমিন, শাহা আলী, খালেক, আব্দুল মালেক, জয়নাল, জহুরুল, শফিক, বিদেশী রফিকুল ও নামাপাড়া এলাকার মামুন, ইয়াছিন, কহির, বাচ্চু, ইয়াছিন আলী, মান্নান, টুকু, জামাল, ইসমাইলসহ প্রায় ৫০ জন নামসর্বস্ব দইয়ের কারখানা দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দীর্ঘদিন দরে দইয়ের ব্যবসা করে আসছে। দুই একজনের ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও বিএসটিআই, পরিবেশে অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। ফলে যেমন খুশি তেমনিভাবে দই উৎপাদন করে শেরপুরসহ রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছে। এতে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি স্বাস্থ্যগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধরণ মানুষ। এমনকি নষ্ট হচ্ছে বগুড়ার দইয়ের খ্যাতি।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এলাকাবসীরা জানান, এই ব্যবসায়ীরা গ্রামের বিভিন্ন পাড়া থেকে দুধ ক্রয় করে বাড়িতে বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই উৎপাদন করে ঢাকায় বিক্রি করে। প্রশাসনের কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এমনকি স্যানেটারী ইন্সপেক্টের মাঝেমধ্যে আসলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে চলে যান।
এ ব্যাপারে ব্যাবসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় ২৫ বছর যাবৎ দইয়ের ব্যবসা করে আসছি। বিএসটিআই কি এটাইতো জানিনা। তাছাড়া আমাদের এ বিষয়ে কেউ কিছুই জানায়নি।

উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর তাহমিনা আকতারের কাছে সাতারা গ্রামে ঘরে ঘরে অবৈধভাবে দইয়ের ব্যবসার কথা জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। উল্টো তার অফিসে যেতে বলে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া এ সকল ব্যবসা কেউ করতে পারবেনা। বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর