এবার স্লাবে রডের পরিবর্তে বাঁশ!

কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাইট মেইনটেন্যান্স প্রকৌশল প্রজেক্টের (এসএমইপির) স্লাব তৈরির কাজে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করছে সাইট মেইনটেন্যান্স প্রকৌশল প্রজেক্ট (এসএমইপি)। বিশ্বব্যাংক এবং এডিবির অর্থায়নে খাল খননের কাজটি করে এসএমইপি এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর জানিয়েছে, ‘এনজিওগুলো নিজেরা নিজেদের মতো কাজ করছে’।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাইট মেইনটেন্যান্স প্রকৌশল প্রজেক্টের (এসএমইপি) নামে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং ইউএইচসিআর যৌথ ব্যবস্থাপনায় রাস্তা নির্মাণ, সাইট রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কার, নিষ্কাশন চ্যানেল পরিষ্কার, পুনর্বাসন অ্যাক্সেস, নিত্যপণ্য সরবরাহ করে থাকে।

বাঁশের কঞ্চি ব্যবহারের বিষয়টিকে নিন্দনীয় উল্লেখ করে উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, আইওএমসহ আইএনজিওগুলো ঠিকাদারদের কাছ থেকে দরপত্র নিলেও রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে নিজেরাই কাজ করছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো স্লাব তৈরির কাজে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহারের বিষয়টি নিন্দনীয়। কনস্ট্রাকশন কাজে যদি বাঁশ দিয়ে নির্মাণকাজ বৈধ হয়, তা হলে বাঁশকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হোক।

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক পলাশ বড়ুয়া বলেন, কয়েক দিন আগে উখিয়ার মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২০ এক্সটেনশনে বেশ কিছু বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি ভাঙা স্লাব দেখা যায়। একইভাবে খাল খননের পর ব্লক বসানোর নামেও হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম। কেননা ওপরের অংশে সামান্য সিমেন্টের প্রলেপ দেয়া হয়েছে, যা কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙে যেতে শুরু করেছে। এভাবে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

বাঁশের কঞ্চি ব্যবহারের বিষয়টি জানতে চাইলে এসএমইপির প্রকল্প প্রকৌশলী হাসান তারেক অফিসের বরাতে দিয়ে বলেন, শুরুর দিকে পরীক্ষামূলক বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ৫০০ পিস স্লাব তৈরি করা হয়েছিল, যা গুণগত মান যাচাইয়ের পরে আর করা হয়নি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাল খননের কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান এসএমইপির এই প্রকৌশলী বলেন, ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি এবং আইওএম তিনটি সংস্থার অর্থায়নে যৌথ সমন্বয়ে এসএমইপি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে। খাল খননের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। এটি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কাজ। -যুগান্তর।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর