যুদ্ধ থেকে পালানো দুই ভাইয়ের স্বপ্নে পেশাদার লিগের ফুটবল

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই ভাই ইউসুফ আর ইয়োহান। তুরস্কের শরণার্থী শিবিরে থেকে আশ্রয় নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। আর বর্তমানে মেক্সিকোতে পাড়ি জমিয়ে দুই সহোদর স্বপ্ন দেখেন আমেরিকা বা ইউরোপের পেশাদার লিগে ফুটবল খেলার। শুধু তাই নয়, সুযোগ পেলে জন্মভূমি ইরাক বা আশ্রয়দাতা যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি গায়ে জাতীয় দলেও খেলতে চান তারা।

২০০৮ সালে যখন ইরাকের তেলকেপ্পে শহর ছেড়ে পালিয়ে আসে তখন বড় ভাই ইউসুফ সালওয়া জেতুনার বয়স ৯ বছর। আর ইয়োহানের বয়সটা আর দু’বছর কম। যুদ্ধে প্রাণ বাঁচাতে সপরিবারে আশ্রয় নেন তুরস্কের এক শরণার্থী শিবিরে।

গল্পের শেষটা এখানেই নয়। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করে পরিবারটি। আর সেখান থেকে ফুটবলার হবার স্বপ্নে বুক বেঁধে সদ্য কৈশোর পেরুনো দুই ভাই পাড়ি জমিয়েছেন মেক্সিকোর ওয়াক্সাকায়। যেখানে ২য় বিভাগের দল অ্যালেব্রিজেস দে ওয়াক্সাকার প্রশিক্ষণে যুক্ত হয়েছে ইউসুফ আর ইয়োহান। শীঘ্রই ক্লাবের জার্সি গায়ে অভিষেক হওয়ার কথা রয়েছে দুই সহোদরের। এখন লক্ষ্য, ভালো পারফর্ম করে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের পেশাদার লিগে খেলা।

ইউসুফ সালওয়া জেতুনা বলেন, নতুন জায়গা, নতুন ভাষা, সব মিলিয়ে খাপ খাওয়াতে কিছুটা সময় লেগেছে। ভিন্ন একটা দেশে এসে পেশাদার ফুটবলে যোগ দেয়াটা রোমাঞ্চকর। ভবিষ্যতে ইউরোপ বা অ্যামেরিকার প্রথম সারীর লিগে খেলতে এখন থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি আমরা।

শুরুর দিকে পরিবার ছেড়ে থাকাটা কষ্টের হলেও ধীরে ধীরে তাতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন তারা।

তিনি আরো বলেন, প্রথমবারের মতো পরিবার ছেড়ে এতোটা দূরে থাকাটা কষ্টকর। তবে এখন ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন সবসময় চিন্তা থাকে আরও বেশি সময় কিভাবে অনুশীলনে থাকা যায়।

জন্মসূত্রে ইরাকী হলেও জীবনের কঠিন সময়ে আশ্রয় দিয়ে পাশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিও দুর্বলতা আছে দুই ভাইয়ের। তাইতো জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেলে এই দুই দেশের যে কোনো একটিতেই খেলতে চান তারা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর