বেলকুচিতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ৭ স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ

সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলায় একই দিনে সাত স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করলেন বেলকুচি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।

শুক্রবার দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করা হয়। প্রথমে বিকাল ৪ টার টায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী (১৩), বিকাল ৫ টার দিকে ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের চর মিটুয়ানী গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী (১২), সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বেলকুচি পৌরসভার চালা সাতরাস্তা এলাকায় একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী (১৭), রাত ৮ টায় ভাংগাবাড়ী ইউনিয়নের সেনভাংগাবাড়ী গ্রামে নবম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪), রাত ৯ টায় দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর পেস্তক পাড়া গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী (১৩), রাত ১০ টায় দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী(১৩) এবং বেলকুচি পৌরসভার চালা অফিসপাড়া এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্রী (১৫) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

ছবি: বার্তা বাজার।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে হতে গভীর রাত পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিবাহ গুলো বন্ধ করা হয়। সাতটি বাল্যবিবাহেই কনের অপ্রাপ্তবয়স্ক।বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করে সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রত্যেক প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়।

বাল্যবিবাহগুলো বন্ধে সহযোগিতা করেন পেশকার মো. হাফিজ উদ্দিন, বেলকুচি থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ। উল্লেখ্য বেলকুচি উপজেলার বর্তমান ইউএনও মো. আনিসুর রহমান সিরাজগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মকালীন সময়ে ইতিপূর্বে আরও দুইবার একদিনে সাত টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

বার্তাবাজার/অমি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর