সন্তানকে বাঁচাতে নিজের লিভারের অংশ দিচ্ছেন মা, এখন দরকার টাকা

১ বছর বয়সী সন্তান জারিন আর স্বামীকে নিয়ে ছোট্ট সংসার উর্মিলা ইসলামের। ছোট্ট সংসারে যে অনাবিল আনন্দ আর সুখ থাকার কথা তার ছিটেফোঁটাও নেই তাদের সংসারে। তাদের সন্তানের দেহে বাসা বাঁধা বিলিয়ারি এটরেসিয়া নামের বিরল এক রোগ কেড়ে নিয়েছে সব আনন্দ।

তাই জন্মানোর কিছুদিন পর থেকেই সেই রোগের সাথে নিজের মেয়েকে বাঁচাতে লড়াই করে যাচ্ছেন গাজীপুরের উর্মিলা ইসলাম ও তার স্বামী। বাংলাদেশ বিমানের আধা-সরকারি চাকরির টাকায় সংসারই ঠিকমতো চলে না উর্মিলার স্বামীর। এর মাঝে করোনা পরিস্থিতিতে পাচ্ছেন শুধু বেসিক বেতন। এই টাকা আয় দিয়ে মেয়ের ৪৫ লাখ টাকা খরচা করে চিকিৎসা করানো অনেকের কাছে বিলাসীতা মনে হলেও, একজন মেয়ের কাছে তা সম্ভব। সেই সম্ভবকে বাস্তবে রুপদানের পথেই হাটছেন উর্মিলা।

বিলিয়ারি এটরেসিয়া রোগের কোনো চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। তাই মেয়েকে নিয়ে ছুটে গিয়েছেন ভারতে। সেখানে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে জানতে পেরেছেন মেয়েকে সুস্থ করতে টাকা দরকার ৪৫ লাখ আর নিজের লিভারের একটু অংশ। যে অংশটা মেয়ের শরীরে স্থাপন করলে মেয়ে বড় হওয়ার সাথে সাথে লিভারও বড় হবে। তাই সবার কাছে আবেদন ও নিজেদের অনেক কিছু বিক্রি করে সংগ্রহ করেছেন ২৮ লাখের মত টাকা। আরও দরকার অনেক টাকা।

সেই টাকা জোগাড় করতে তিনি চালাচ্ছেন প্রাণপণ চেষ্টা। এ যেন নিজের সন্তানকে বাঁচাতে বিশ্বযুদ্ধ করার মতন অবস্থা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে চাইছেন মেয়েকে বাঁচাতে আর্থিক সহায়তা।

উর্মিলা ইসলামের বার্তাটি নিম্নে উল্লেখ করা হল-

‘আসসালামুআলাইকুম।

মানুষ মানুষের জন্য।

জারিন আমার মেয়ে। ও বিরল রোগ বিলিয়ারি এটরেসিয়ায় আক্রান্ত। আর্জেন্ট লিভার ট্রানসপালন্ট করতে হবে। ওর বয়স ১ বছর পার হল। আমাদের এই মেয়েকে নিয়েই আমাদের ছোট্ট পরিবার। জন্মের ৪ দিন পর থেকেই ওর সমস্যা গুলো দেখা দেয়-সারা শরীর হলুদ ছিল, পেট ফোলা ছিল, পটি সাদা তেল ভাসত,প্রসাব গাঢ় হলুদ ছিল, বমি করতো, সবসময় জর থাকতো, ঠান্ডা, কাশি (নিউমোনিয়া) থাকত, সারা শরীর চুলকায় বিলিরুবিন বেশি তাই, আর বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত পড়ে এখন পর্যন্ত চলছে এই চলমান সমস্যাটা।

এই পর্যন্ত আমরা ১৯ জন এলোপ্যাথি ডক্টর দেখাই এর মধ্যে কেউ রোগ ধরতে পেরেছে কেউ পারেনি।হোমিওপ্যাথি দেখাই ১১ জন।হাজার হাজার টাকার ঔষধ দিত কিন্তু কিছুই হয়না।হুজুর,কবিরাজ ও অনেক দেখাই কিছুই হয়নাl

সবশেষে ভেলরের সিএমসি তে যাই।সব আবার নতুন করে পরীক্ষা করে, পরীক্ষা করতে ওর খুব কষ্ট হয়।রক্ত টেষ্ট, পটি -ইউরিন টেস্ট, আলট্রা,একসেরে,হাইডা স্কেন,সল্ট টেস্ট, সবার থেকে ও খুব কষ্ট পায়।

বিলিয়ারি এটরেসিয়াই ধরা পড়ে তাদের রিপোর্টে যেটা বাংলাদেশেই জানতে পারি। তারা দ্রুত ট্রানসপালনট করার সিদ্ধান্ত দেন।যেহেতু আমরা ২মাসের ভিতর কাসাই করিনি।তাই হাতে সময়ও নেই।

আমরা একমাস থাকি ওখানে। তারপর বাংলাদেশে চলে আসি,আর সার্জারির টাকা মেনেজ করার চেষ্টা করতে থাকি আজ অবদি চেষ্টা করছি।

আপনাদের সহযোগিতা, দোয়ার উছিলা আর আল্লাহর রহমতে আমার মেয়ে ও বাঁচবে ইনশাআল্লাহ।

আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমি মা ডোনার হব ইনশাআল্লাহ।

আপনাদের জন্য কিছু মেনেজ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এই ভালো কাজের প্রতিদান আললাহ বহগুণে বাড়িয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

এখনো আমাদের অনেক টাকার দরকার। দোয়া করবেন যেন সব সম্ভব হয় আল্লাহর রহমতে।’

জারিনকে বাঁচাতে-

বিকাশঃ 01686123560.(personal )

বিকাশঃ 01724808873.(personal)

বিকাশঃ 01871180061. (personal)

নগদঃ01724808873.

রকেটঃ018711800612.

paypal:haquenurimtiazul@gmail.com

ব্যাংক হিসাবঃmd.jahirul islam: 202 151 0177815.
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ
আশকোনা শাখা ঢাকা
মোবাইলঃ ০১৬৮৬১২৩৫৬০

ভিডিও…

বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর