আমাদের ইচ্ছা মত পিটাইছে, কারেন্টের শক দিছে: ওসি প্রদীপ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় আটককৃত পুলিশ সদস্যরা র‍্যাবের হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও আরেক আসামী প্রদীপ কুমার দাস। বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকতের গুলিতেই নিহত হয়েছিলেন মেজর সিনহা। অপরদিকে এই মামলায় গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রদীপ কুমার দাশ ছিলেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মামলার আরেক আসামী উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতও র‍্যাবের হেফাজতে ছিলেন। কক্সবাজার জেলা আদালতের নির্দেশে সিনহা হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্তের ভার র‍্যাবকে দেওয়া হয়েছে। নন্দদুলাল রক্ষিতও নির্যাতিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি কক্সবাজার আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে প্রদীপ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নালিশের সুরে এসব অভিযোগ করেন।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রদীপ কুমার দাস বলছেন- “ওরা (র‌্যাব) খুব বেশি মাথা গরম করছে, আমাদেরকে ইচ্ছামত পিটাইছে। এবং তারা যাতে দাগ না হয়, দাগ না হওয়ার জন্য তারা ডাক্তারের উপস্থিতিতে কারেন্টের শট দেওয়া শুরু করছে। আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কারেন্টের দাগ আছে স্যার। সারাটা দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা হ্যান্ডকাফ দিয়ে দাঁড় করাই রাখতো। আমাদের কোনও পানি দেওয়া, আমাদের কোনও খাবার দেওয়া একদম [বন্ধ]। একদম অমানবিক জীবন যাপন, স্যার।”

ডাক্তারের উপস্থিতিতে ওসি প্রদীপ ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার অভিযোগ করলেও, কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহীন আব্দুর রহমান চৌধুরী এর আগে একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিককে বলেছিলেন, আসামীদের সম্পূর্ণ শরীর পরীক্ষা করেও তিনি আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখতে পাননি। তবে একটি ভিডিওতে প্রদীপ নিজেই তার শরীরে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়ার চিহ্ন দেখান।

তবে নেটিজেনদের মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ‘ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে পুলিশ ভ্যানের মধ্যে মোবাইল ফোন কে দিয়েছে বা প্রদীপ মোবাইল ফোন কোথায় পেয়েছে। একজন আসামি কি হাজতে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বার্তা বাজার / ডি.এস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর