সরিষাবাড়ীতে যমুনার চরালে বাদামের বাম্পার ফলন

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা নদীর চরা লে এবার বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাদামের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়া থাকায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় কৃষকরা এ বছর ভালো ফলন তুলতে পেরেছে। তবে দাম ভালো না হওয়ায় নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মুখে হাসির বদলে হতাশা দেখা দিয়েছে। তবে

একাধিক কৃষক বাদাম উৎপাদনে স্থানীয় কৃষি অফিসারের সহায়তা ও পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গভীর ও অবহেলিত চরা ল হিসেবে পরিচিত পিংনা ইউনিয়নের রসপাল এবং আওনা ইউনিয়নের স্থল ও জগন্নাথগঞ্জ পুরাতন ঘাট এলাকার চরা লে বাদাম তোলার হিড়িক পড়েছে। ছেলেদের পাশাপাশি বাড়ীর মেয়ে ও বাচ্চারা বাদাম তোলার কাজে ব্যস্তসময় পার করছেন। এছাড়া বেলে মাটি বাদাম চাষের জন্য উর্বর হওয়ার কারনে যমুনার জেগে ওঠা এ সব অ লে চৈত্র মাস নাগাদ বাদাম বীজ বপন শুরু হয়। মাত্র দুই-আড়াই মাসের মধ্যেই বাদাম তোলার উপযোগী হয়ে উঠে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে বাদাম চাষে মাত্র পাঁচ-ছয় হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ বাদে বিঘা প্রতি আট-দশ হাজার টাকা লাভ সম্ভব। ফলন ভালো ও বাজারের চাহিদা থাকায় কৃষক বাদাম চাষে সন্তুষ্ট। নদী ভাঙনে শিকার সহস্রাধিক কৃষক বাদাম চাষে লাভবান হয়েছেন।
আর এই সব চরা ল বেশির ভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে সেখানে কোন ফসল লাগানোর তেমন সুযোগ নেই। তবে বাদাম চাষের উপযোগী হচ্ছে চরা লের বিস্তীর্ণ বালুচরের জমিগুলো। অল্প সময়ের মধ্যে বাদামের ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া ভালো দামও পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে যমুনার চরা লে ৩৫০ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় বিগত মওসুমের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বাদাম মানুষের খাদ্য, পুষ্টি ও ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ করে। এছাড়া বাদাম গাছের কচিপাতা গবাদি পশুর জন্য পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য।
পিংনা ইউনিয়নের বাদাম চাষি ওমর ফারুক বলেন, আমি এ বছর ১৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম কম হওয়ায় লোকসান হবে।

স্থল এলাকার বাদাম চাষি হারুন অর রশিদ ও বাদশা মিয়া বলেন, এবছর আমাদের বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। তবে দাম কম হওয়ার কারনে আমাদের লাভ হবে না। আসল খরচ উঠবে কিনা সেটাও সন্দেহ।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সব ধরনের আবাদেই কৃষি অফিস থেকে সাধ্যমতো সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়। আমরা এবছর বাদাম চাষিদের বিভিন্নসময়ে বিভিন্নপরামর্শ দিয়েছি। এছাড়া আমরা চরা ল কর্মসূচির আওতায় বাদাম চাষের উপর প্রদশর্ণী ব্লক দেয়া হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর